কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দে এক ফুচকা বিক্রেতা বিনামুল্যে জনসাধারণকে ফুচকা খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আর এই খবর ভাইরাল হতেই ফুচকা বিক্রেতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সমাজে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বৈষম্যমুলক আচরণের বিরুদ্ধে এই ফুচকা বিক্রেতার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ। তিনি ফুচকা বিতরণের সঙ্গে সমাজকে এক বার্তাও দিয়েছেন, তিনি বলেছেন “বেটি হ্যায়, কাল হ্যায় (কন্যাদের নিয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভব),”।
আঁচল গুপ্তা, ৩০ বছর বয়সী এই যুবক ফুচকা বিক্রি করেন মধ্যপ্রদেশের কোলার অঞ্চলে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ফুচকা বিক্রি করেই সংসার চালান। অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে না পারা এক ফুচকা বিক্রেতার এই উদ্যোগ আলোড়ন ফেলেছে সোশাল মিডিয়ায়।
আঁচল জানান, “আমি বিয়ের পর থেকেই কন্যাসন্তান চাইতাম, কিন্তু বছর দুয়েক আগে আমাদের এক পুত্র সন্তান হয়। অবশেষে গত ১৭, অগস্ট আমার কন্যা সন্তান হয়। আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। একদিন আগেই আমার প্রথম সন্তানের দ্বিতীয় জন্মদিন ছিল, আমি “বেটি হ্যায়, কাল হ্যায় (কন্যাদের নিয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভব),” এই বার্তা দিয়ে ভোপালের জনসাধারণকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর মাধ্যমে আমি আমার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছি”।
সাধারণ এক ফুচকা বিক্রেতা হয়ে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফুচকা বিনামুল্যে তিনি সকলকে খাওয়ান, মেয়ে হওয়ার আনন্দে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দের কাছে এই মুল্য যৎসামান্য’। বিপুল সংখ্যক মানুষ এদিন বিকেল থেকেই তাঁর স্টলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। রাত যত বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে ভিড়ও বাড়তে থাকে। তবে সব আয়োজন ছিল করোনা বিধি মেনে। ফুচকা খেতে আসা সকলেই তাঁকে, কন্যা সন্তান লাভের জন্য অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, এবং সেই সঙ্গে তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ফুচকা বিক্রেতা, আঁচলের অপর দুই ভাই ইঞ্জিনিয়ার। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি করছেন, বাড়িতে রয়েছেন তাঁর গ্র্যাজুয়েট স্ত্রী। তিনি নিজে একটি সেলাই স্কুল খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তা এখনও হয়ে ওঠেনি। তবে অদুর ভবিষ্যতে তিনি তাঁর এই সেলাই স্কুল খোলার বিষয়ে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে চান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন