বাদাম বিক্রেতা বাদাম বিক্রি করার জন্য এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। অনেক ভেবেচিন্তে বাদাম বিক্রি করার জন্য গান বেঁধেছেন তিনি। সেই গানে সুর মিশিয়েছেন তিনি নিজেই। তাঁর সেই গানই যে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি, বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুবন। তবে গান ট্রেন্ডিং হলেও সংসারের অভাব ঘোচেনি।
Advertisment
জীবনের চলার পথে সকাল থেকে রাত হাড় ভাঙা পরিশ্রম করতে হচ্ছে ভুবনকে। বাদাম বিক্রি করে যা আয়, তাই দিয়েই কোন মতে সংসার চলে তাঁর। ইউটিউব থেকে রিল, ফেসবুক থেকে ইউটিউব— সবেতেই নজর কাড়ছে ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি। খ্যাতিও জুটেছে। আগে সাইকেলে করে গ্রামের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত সকাল থেকে রাত বাদাম বিক্রি করতেন ভুবন।
কিছুদিন আগে, একটি পুরনো বাইক কেনেন। এখন বাদাম বিক্রি করতে বাইক-ই ভরসা ভুবনের। পুরনো বাইকের পিছনে বাদামের বস্তা চাপিয়ে গান গাইতে গাইতে বাদাম বেচছেন ভুবন— কুড়ালজুড়ি গ্রামে এ অতি পরিচিত ছবি। তবে ইউটিউব খুললেই তাঁর গান ভেসে উঠছে, এটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে নতুন বিষয়। ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম... ’,
ইতিমধ্যেই গানের নানান রিমেক সামনে এসেছে। গানের সুরে মিশে রয়েছে গ্রাম বাংলার জীবন সংগ্রামের কাহিনী। ভুবনের কথায়, অনেক চিন্তা ভাবনা করে এই গান লিখি এবং তাতে সুর দিই, মূলত গানের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকর্ষণ করাই ছিল ভুবনের মুল লক্ষ। তবে এভাবে যে তার গান নেটদুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করবে তা কখনই ভাবেননি পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই ভুবন।
এদিকে ভুবনের গান ভাইরাল হতেই তাকে নিয়ে বেজায় উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরাও। তাঁদের অনেকের কথায়, এই গ্রামে যে এত বড় প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তা এতদিন আমাদের সকলের অজানা ছিল। বাংলার বাইরে বহু জায়গায় বাদাম বিক্রি করেছেন ভুবন। আর এবার নতুন ভুবনকে মাতোয়ারা তামাম বিশ্ব। ইতিমধ্যেই ভারত ছাড়িয়ে ভুবনের গানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। সেখানেও ভুবনের গানের রিমিক্স তৈরি হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন