New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/08/Tattoo-Artist.jpg)
এই ভয়ঙ্কর রূপের আড়ালে তাঁর একটি সুন্দর হৃদয় আছে
এই ভয়ঙ্কর রূপের আড়ালে তাঁর একটি সুন্দর হৃদয় আছে
এই ভয়ঙ্কর রূপের আড়ালে তাঁর একটি সুন্দর হৃদয় আছে
ব্রাজিলিয়ান ট্যাটু আর্টিস্ট মিশেল ফারো প্রাদো নিজের এক ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন। তিনি এই কাজটি করেছেন তার সারা শরীর জুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ট্যাটুর সমন্বয়ে। প্রাদো, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়াব্লো প্র্যাদো বা ডেভিল প্রাদো নামে পরিচিত। ট্যাটুর মাধ্যমে তিনি তার শরীরের প্রায় ৮০% পরিবর্তন করে নিজের এক ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন সমাজের সামনে। নিজের চেহারার প্রায় সম্পূর্ণটাই বদলে ফেলেছেন তিনি। তিনি তাঁর নাকে সামনের অংশকে ছোট করে হাতের একটি আঙুল বাদ দিয়ে নখের মতো তাঁর হাতকে অনুকরণ করেছেন। তিনি ট্যাটুর মাধ্যমে নিজের একটি ডানা এবং শিংও বানিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে প্রাদো বলেন, “এই ভয়ঙ্কর রুপে পরিণত হওয়ার কোনও প্ল্যানিং আমার ছিল না, এরকম কোনও ধারণাও আমার ছিল না।" কিন্তু এই ভয়াবহ রুপ আমাকে আকৃষ্ট করেছে”। একদা গৃহহীন মাদকাসক্ত ৪৬ বছর বয়সী এই ট্যাটু শিল্পীর কথায়, “সেই কঠিন সময় আমাকে ভাল মানুষ হয়ে উঠতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছিল, যিনি প্রতিনিয়ত নিজস্ব জ্ঞান কাজ লাগিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে চলছেন”। প্রাদো আরও বলেন, এই ভয়ঙ্কর রূপের আড়ালে তাঁর একটি সুন্দর হৃদয় আছে।
তাঁর স্ত্রী বছর ৩৬-এর ক্যারল প্রাদো। তিনিও কোনওভাবে মিস্টার প্রাদোর থেকে পিছিয়ে রাখতে রাজি নন। তিনিও তাঁর চেহারার আমুল পরিবর্তন করে চমক সৃষ্টি করেছেন একই ভাবে। ক্যারল প্রাদো সোশ্যাল মিডিয়ায় “ডেমন উওম্যান” হিসাবে খ্যাত। সাও পাওলোর বাসিন্দা এক দম্পতি বিগত পাঁচ বছর ধরে ধীরে ধীরে নিজেদের এই রূপে সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন।
প্রাদো দম্পতির কথায়, তাঁরা তাঁদের এই ভয়ঙ্কর রূপের জন্য নানা ভাবেই নানা ঘৃণা এবং বিদ্বেষের মুখোমুখি হয়েছেন, তবে তাঁরা সবসময়ই সেগুলিকে উপেক্ষা করে গেছেন। মিস্টার প্রাদো এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি সমাজের মুল স্রোতের থেকে একটু আলাদা ভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে চাই, আমি মানুষের কাছ থেকে এত ভালবাসা পেয়েছি যেখানে ঘৃণা এবং বিদ্বেষও ছোট হয়ে গেছে”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন