গতবছর জনতা কার্ফুতে চা খেতে গিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন। "আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা?" এই সংলাপ আজ আট থেকে আশির মুখে। আড্ডা জয়েন্টেও দেদার বিখ্যাত চা কাকু। কিন্তু এত জনপ্রিয়তাও তাঁর সংসারের অভাব দূর করতে পারেনি। তবে আজ খেটে খাওয়া মানুষটি নিজেই চায়ের দোকান মালিক।
Advertisment
নিত্যসঙ্গী অভাব। গোদের উপর বিঁষফোড়া আবার করোনা। অতঃপর অতিমারী আবহে সংসার টানতে যেন বেগ পেতে হচ্ছিল চা কাকুকে। গতবছর লকডাউনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীর মতো বেশ কজন। কিন্তু সাহায্য, অনুদানের টাকায় আর ক'দিন চলে! বাড়িতে অসুস্থ মা। নিজেও কর্মহীন। ছেলের রোজগারও বেশি নয়। এককথায়, বেজায় কষ্টেই দিন কাটাতে হচ্ছিল চা কাকুকে। মানুষটিকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, খিল্লি-খোরাকও কম হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি আজ আম-লোকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু নিজে মিমের উপকরণ হয়েও সহজ-সরল মানুষটি বিন্দুমাত্র বদলাননি। তাই নিজেই চায়ের দোকান খুলে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সবাইকে- "যারা যারা আমার দোকানে চা খেতে চাও চলে এসো।"
মৃদুল দেব ওরফে চা কাকু। আজ্ঞে, এটাই ওঁর প্রকৃত নাম। কষ্টেশিষ্টে দিনাতিপাত করলেও কারও কাছে চিরজীবনের জন্য হাত পাততে নারাজ মৃদুলবাবু। আর তাই নিজেই আস্ত একটা চায়ের দোকান খুলে ফেললেন বিজয়গড়ে। ঠিকানা- ১১/৫/সি, কলকাতা-০৩২। ছোট্ট একটা চায়ের দোকান। কী নেই তাতে? রকমারি পানমশালা থেকে শুরু করে চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট সবকিছুই রেখেছেন মৃদুলবাবু। আর দোকান খোলার কথা ফেসবুকে নিজেই জানিয়েছেন।
খুব দরদ দিয়েই সবাইকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন মৃদুলবাবু- "নতুন দোকান খুলেছি। ছোট করেই শুরু করলাম। যারা যারা আমার দোকানে চা খেতে চাও চলে এসো।" চা কাকুর পোস্টের নিচে নেটজনতারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। তাঁরা যে নিশ্চয়ই চায়ের আসর বসাবেন মৃদুলবাবুর দোকানে, সেকথাও জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন