সন্তান সম্ভবা দুবাইয়ের এক মহিলা। দারুন খুশির খবর। গোটা পরিবার খুব খুশি। কিন্তু সেই খুশি তো ভাগ করে নিতে হবে সকলের সঙ্গে। তবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা ঠিক করে দেব পোষা বাঘ! হ্যাঁ পোষা বাঘ। দুবাইতে বাড়িতে বাঘ, সিংহ পোষাটা স্বাভাবিক। দুবাইতে অনেক শিল্পপতির ঘরে বাঘ সিংহের দেখা মেলে। তবে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করছে এক পোষা বাঘ এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। যে সকল বাড়িতে বাঘ সিংহের দেখা মেলে তাঁদেরকে আমাদের দেশের পোষ্য কুকুরের মতোই আদর ও ট্রেনিং দেওয়া হয়।
Advertisment
তবে জঙ্গল জীবন থেকে বাঘ-সিংহকে সরিয়ে নিয়ে নিজের ঘরে পোষাটাকে মেনে নেন না বন্যপ্রাণী প্রেমীরা। এই নিয়ে বিরোধও রয়েছে। তবে তাতে কী! যারা পোষার তারা ঠিক পুষে ফেলছে। এবং এই বাঘেদের নানা ট্রেনিং ও দিয়ে ফেলছে।
সম্প্রতি যে ভিডিওটি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে, তা অবাক করে বটে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বেবি জেন্ডার সেরেমনি চলছে। বিদেশে এই অনুষ্ঠান মজা করেই করা হয়। তাতে পরিবারের লোকেরা উপস্থিত থেকে হাসি মজা করেন।
একটি বাঘকে খোলা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার সামনে উড়ছে কতগুলি বেলুন। এবার বাঘটি একটি কালো বেলুন দেখতে পায় এবং সে বেলুনটি লাফিয়ে দুহাতে ফাটায়। সঙ্গে সঙ্গে গোলাপি পাউডার ছড়িয়ে পড়ে। এবং সকলে হাততালি দিয়ে ওঠেন। গোলাপি রং মানে হল মেয়েদের রং। তার মানে গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে। এটাই ধরে নেওয়া হয়।
এই কাজের জন্য বাঘটিকে আগে থেকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। নিছক আনন্দে মেতে ওঠার জন্য বাঘটিকে না জানি কী কী শেখানো হয়েছে। এই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হতেই ৩ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে।
তবে ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা খুশি হননি। বরং নিন্দা করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই ভিডিও মানবিক নয়। যদিও বাঘটির কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তাই বলে বনের একটা প্রাণীকে এভাবে পোষা কেন? অনেকেই বলেছেন এটি একটি জঘন্য অপরাধ। যদিও ও দেশে এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু পশুপ্রেমীরা এই ভিডিও নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তার সঙ্গে এভাবে আগে থেকে লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়েও বেজায় ক্ষুদ্ধ নেটিজেনদের একাংশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন