হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম একই সঙ্গে বিভ্রাটের জেরে বিপাকে পড়েছিলেন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ইউজার। জনপ্রিয় এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে বড়সড় ধাক্কা। সোমবার রাতে হঠাত্ সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল এই অ্যাপগুলিতে। বিপাকে পড়েছিলে কোটি কোটি ব্যবহারকারীরা। জানা যাচ্ছে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। খুলছে না ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামও। রাত ৯টার একটু পরে (৯টা ১০ নাগাদ) এমন হয়েছে। ফলে মুহূর্তের জন্য থমকে গেছে যোগাযোগ পরিষেবা। ফেসবুক ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে একটি বার্তা, সেখানে বলা হচ্ছে, কিছু ত্রূটি ঘটেছে, আমরা তার জন্য দুঃখিত। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা ঠিক করার চেষ্টা করছি। হোয়াটসঅ্যাপে কোনও মেসেজ পৌঁছচ্ছে না, হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ওপেনই হচ্ছিল না। থমকে গিয়েছিল ইনস্টাগ্রামও। এই তিন সংস্থাই একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত, তাই একসঙ্গে ডাউন হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের তিন বড় অ্যাপ। এই পরিস্থিতিতে সকলে টুইটারের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেখানেই সকলে নিজের নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন।
প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক Facebook, WhatsApp এবং Instagram। সোমবার রাতে আচমকাই স্তব্ধ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলি। সমস্যার সম্মুখীন হন ভারত সহ গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর পরিষেবা শুরু আগে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতিও দেন সংস্থার CEO Mark Zuckerberg। তিনি পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পর কিছু সময় আগে একটি ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেন। এদিকে ফেসবুক বিভ্রাটের কারন অনুসন্ধানের পর জানা গিয়েছে, মুলত কনফিগারেশনের ত্রূটিপূর্ণ পরির্বতনের কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংস্থার CEO Mark Zuckerberg-এর আর্থিক ক্ষতির অঙ্কটাও বিশাল। সব মিলিয়ে যেন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়া।
তবে এই কাণ্ড নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মজার মিম এবং কৌতুকের ছড়াছড়ি। যে ভাবে ফেসবুক বিভ্রাটের জেরে সাধারণ মানুষ স্যুইচ করেছে টুইটারের এবং সেখানেই সকলে নিজের নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, তা নিয়ে মজার মিমস ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখে নেওয়া যাক সেই মজার মিম গুলি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন