New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/Alcohol-Museum.jpg)
গোয়ায় খুলে গেল অ্যালকোহল মিউজিয়াম।
খবরের জেরে নেশায় বুঁদ নেটদুনিয়া!
গোয়ায় খুলে গেল অ্যালকোহল মিউজিয়াম।
সুরাপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর। গোয়ায় খুলে গেল অ্যালকোহল মিউজিয়াম। এমন মিউজিয়ামের কথা শুনেই হয়তো একটু অবাক হচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবিকভাবেই আমাদের দেশে প্রথম তৈরি হল অ্যালকোহলের মিউজিয়াম। নাম দেওয়া হয়েছে 'All About Alcohol' । এই মিউজিয়ামে রয়েছে নানা দেশের বিভিন্ন মদের ইতিহাস সম্পর্কিত অজানা হরেক তথ্য।
গোয়াকে বলা হয় সুরারসিকদের স্বর্গরাজ্য। এখানে পর্যটকরা ভ্রমণে গেছেন অথচ সুরার গ্লাসে চুমুক দিয়ে স্বাদ নেননি, তার সংখ্যা নিতান্তই কম। সেই সুরারসিকদের স্বর্গরাজ্যের বাড়তি আকর্ষণ অ্যালকোহল মিউজিয়াম।
গোয়ার সোনালি দুপুরকে সবথেকে বেশি উপভোগ্য করে তোলে এক গ্লাস 'ফেনি'। এটি হলো এক ধরনের দেশীয় মদ। এর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে গোয়ার ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও ইতিহাস। অ্যালকোহলের এই মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছে গোয়ার রাজধানী পানাজির থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ক্যান্ডোলিন এলাকায়। মিউজিয়ামটি তৈরি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা নন্দন কুড়চাড়কর। অসাধারণ রূপে সজ্জিত এই মিউজিয়াম খোলা পাবেন দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এই মিউজিয়ামটি রীতিমতো বিভিন্ন দেশের মদের সংগ্রহশালা। একটি বাড়ির চারটি ঘর জুড়ে শুধু থরে থরে সাজানো রয়েছে নানান ধরনের মদ। এককথায় মদের ইতিহাসের আঁতুড়ঘর বললে খুব একটা ভুল হবে না। এখানে গেলে পেয়ে যাবেন নানা প্রজন্মের ফেনি। এমনকি পাঁচের দশকের ফেনি পর্যন্ত এখানে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
এই মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে ষোড়শ শতকের বিশেষ একটি পুরনো মাটির পাত্র। এই পাত্রটি দিয়ে ফেনির পেগ মাপা হত। এছাড়াও রয়েছে বিশেষ একটি স্কেল। কত পরিমাণ ফেনি খেলে একজন মাতাল হতে পারেন, তার পরিমাপ মাপা হয় এই স্কেল দিয়ে।
ব্যবসায়ী নন্দন কুড়চাড়কর মনে করেন, গোয়ার মানুষের কাছে মদ খাওয়াটা নেশা নয়, এক ধরনের শিল্প। মদ পরিবেশন আতিথেয়তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাই গোয়ার এই পুরনো ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে নবরূপে তৈরি করেছেন অ্যালকোহল মিউজিয়াম। এবারে গোয়ায় বেড়াতে গেলে অ্যালকোহল মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন