সোশ্যাল মিডিয়া মানেই নানা বিচিত্র ঘটনার সমাহার। এবার যে খবর ভাইরাল হয়েছে তাতে ভিরমি খাচ্ছেন নেটিজেনরা। বস অফিসে কাজের ফাঁকে ফেসবুকে চোখ রাখলেই তাঁকে মারতে হবে সপাটে চড় এমনই বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মচারী নিযুক্ত করেছেন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। আর এই খবর ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। কেন এমন অদ্ভুত কাণ্ড, কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।
বর্তমান দিনে কম্পিউটারে কাজের যুগে ব্যস্ততার ফাঁকে সকলেই একটু আরামের সময় খুঁজে নেনে। এর জন্য কেউ বেছে নেন গেম, কেউ বা আবার ফেসবুক। ঠিক এরকমই স্বভাব ছিল পরিধানযোগ্য ডিভাইস ব্র্যান্ড পাভলোকের প্রতিষ্ঠাতা মনীশ শেঠির। কাজের প্রয়োজনে ল্যাপটপে ইন্টারনেট চালু করতেই প্রথমে চোখ চলে যেত ফেসবুকের দিকে। আর সেখানেই চলে যেত অনেকটা সময়।
এই কারণেই কর্মসংস্থানের জন্য এক অভিনব বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মনীশ শেঠি। বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু ছিল, ‘কাজের ফাঁকে আমি সময় নষ্ট করলে, আমার উপর চিৎকার, প্রয়োজনে মারতেই হবে চড়-থাপ্পড়’। আর এই অদ্ভুত বিজ্ঞাপনের পরবর্তীতে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর একটি মহিলাকে সেই পদে নিযুক্তও করেন তিনি। ওই মহিলার কাজ, যখনই মনীশ ল্যাপটপে কাজ করবেন, তখনই তাঁর পাশে বসে কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রাখতে হবে। আর যদি কখনও কোনও ট্যাবে ফেসবুক দেখা যায়, তাহলে সপাটে চড় মারতে হবে বসকে।
মহিলা কর্মীকে ওই দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আর একেবারেই সময় নষ্ট হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী। তবে তাঁর এই অভিনব চিন্তায় রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড় নেটিজেনদের। মার খাওয়ার ভয়ে ফেসবুক নয়, মন দিয়ে কাজটাই করছেন এই ভারতীয় ব্যবসায়ী। এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতেই নজরে আসে টেসলা-স্পেসএক্স-এর কর্ণধার, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এলন মাস্কের। টুইটারে দুটি ‘ফায়ার’ ইমোজি দিয়ে তাঁর প্রশংসাও করেন এলন মাস্ক।
এদিকে এই খবর প্রকাশ্য আসতেই তোলপাড় শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েক হাজার মানুষ টুইটারে এই পোস্ট দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ফেসবুকের আসক্তি কাটাতে নিজে যেচে চড় খাচ্ছেন অফিসের বস, এমন ঘটনার কথা কস্মিনকালেও কেউ শুনেছেন বলে মনে করতে পাচ্ছেন না। এই খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরজা তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন