সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে প্রতিদিন নানান ধরনের আজব ঘটনা আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। সম্প্রতি যে ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, এমনটা যে হতে পারে তা কখনও কল্পনা করতে পারেননি নেটিজেনরা। ভারতের বাতিল চেয়ার আজ বিদেশের 'অ্যান্টিক'। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি রেস্তরাঁর বাইরে ভারতের একটি লোহার ফোল্ডিং চেয়ার।
এবার চেয়ারটা ভারতের কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ ছিল অনেকের মনেই, চেয়ারে যে নামটা লেখা আছে তা সত্যিই একজন মারাঠির। শুধু তাই নয়, এমনকি হরফটাও মারাঠি। সুতরাং সকলেই নিশ্চিত যে লোহার ফোল্ডিং চেয়ারটি ভারতেরই। মারাঠিতে সেই লোহার চেয়ারের পেছনে লেখা আছে “বালু লোখণ্ডে, সাভলজ”।
ব্রিটিশ রেস্তরাঁর বাইরে চেয়ারের একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। নেটিজেনরা ভাবছেন কীভাবে চেয়ারটি মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার সাভালাজ গ্রাম থেকে ম্যানচেস্টারের আল্ট্রিঞ্চাম এলাকায় পাড়ি দিল। চেয়ারটা কীভাবে ৭,৬২৭ কিলোমিটার পথ গেল! তা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে নেটদুনিয়ার মানুষজনদের। ভিডিওটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, “ম্যানচেস্টারের আল্ট্রিনচামে বালু লোখাণ্ডে। কী অদ্ভুত ব্যাপার তাই না?”
লোহার এই ফোল্ডিং চেয়ারটি সাভলজের মণ্ডপ ডেকোরেটর বালু লোখাণ্ডে কিনেছিলেন, যখন তিনি তাঁর ডেকোরেশনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তিনি কর্ণাটকের হুবলি থেকে চেয়ারটা কিনেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোহার সেই চেয়ারের চাহিদা কমে যাওয়ায় গ্রাহকরা প্লাস্টিকের চেয়ারে আগ্রহী হতে শুরু করেন। প্রায় ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই লোহার চেয়ারগুলি ভারিও হয় অনেকটা। যুগের সঙ্গে চাহিদাও কমতে থাকে এই চেয়ারগুলির। এক সময়ে এসে সেগুলি বাতিল হয়ে যায়।
প্রায় ১৫ বছর আগে, লোখাণ্ডে চেয়ারগুলি স্ক্র্যাপ হিসাবে প্রতি কেজি ১০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চেয়ারগুলি মুম্বইতে বিক্রি করা হয়েছিল। পরে একজন বিদেশি ব্যবসায়ী এগুলিকে অ্যান্টিক চেয়ার হিসেবে কিনেছিলেন। আর সম্ভবত সেই ব্যবসায়ীর হাত ধরেই সেদিনের সেই ফোল্ডিং লোহার চেয়ার আজ বিদেশে রেস্তরাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে।
ভিডিওটি টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। এটিতে ২৯,০০০-এরও বেশি ভিউ হয়েছে। ম্যানচেস্টারে মহারাষ্ট্রের গ্রামের চেয়ার দেখে নেটিজেনরা বিস্মিত হয়েছিলেন সকলেই। একজন কমেন্টে লিখেছেন, “এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক!” তবে পুরনো দিনের লোহার এই চেয়ার দেখে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব দিনের স্মৃতিরোমন্থন করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন