মায়ের কাছে ফিরে যেতে পেরে বেজায় আনন্দিত ‘পথ ভোলা’ এক ছোট্ট হস্তিশাবক। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এক বনবিভাগের আধিকারিকের পা নিজের শুঁড় দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখল ছোট্ট সেই হস্তিশাবকটি। আর এই বিরল ঘটনার মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছোট্ট হস্তিশাবকের এই কাণ্ড দেখে আবেগে ভাসলেন নেটিজেনরা।
মা এবং সন্তানের মধ্যেকার মিষ্টি কেমিস্ট্রি, পৃথিবীর আর অন্য কোনও সম্পর্কের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। দিন কয়েক আগেই স্যোশাল মিডিয়ায় এমনই এক হৃদয়স্পর্শী ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।। যা দেখে আপ্লূত হয়েছিলেন নেটিজেনরা। মা তো মা-ই হয়, তা সে মনুষ্য মা হোক কিংবা চারপেয়ী মা। মায়ের থেকে আলাদা হওয়ার পর সকল শিশুই পৃথিবীতে একা হয়ে যায়। আর যখন আবার সন্তান তার মায়ের কোল ফিরে পায় তার কাছে তার চেয়ে আনন্দের আর কিছুই থাকে না।
সেরকমই এক ভিডিও কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে দেখা যাচ্ছে মা’র থেকে আলাদা হয়ে গেছে এক হস্তিশাবক। আলাদা হয়েই বেজায় মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট হস্তিশাবকের। গভীর জঙ্গলে কোনও কারণ মাকে হারিয়ে ফেলেছিল সে। এর পর বন্যকর্মীদের তৎপরতায় আবার তার মেয়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মায়ের কোলে ফিরতে পেরে বেজায় খুশি সেই ছোট্ট হস্তিশাবকটি।
আইএফএস আধিকারিক সুধা রামন নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘একটি হস্তিশাবক তার মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর, তাকে তার পরিবারের কাছে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তামিলনাড়ুর মুদুমালাইয়ের এই ঘটনা সত্যই হৃদয়স্পর্শী। সেই ভিডিও এক হাজারের বেশি শেয়ার করা হয়েছিল।
এবার দেখা গেল নিজের শুঁড় দিয়ে এক বনবিভাগের আধিকারিকের পা জড়িয়ে ধরে রেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল ছোট্ট হস্তিশাবকটি। মায়ের কাছে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ দিতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একটি ছোট্ট হস্তিশাবকের এমন আচরণ মুগ্ধ করেছে হাজার হাজার হৃদয়কে। আইএফএস আধিকারিক পারভিন কাশওয়ান এই মিষ্টি ছবিটি টুইট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “ভালবাসার কোন ভাষা হয় না, বাচ্চা হাতিটিকে মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার পর সে তার শুঁড় দিয়ে বনবিভাগের এক আধিকারিকের পা জড়িয়ে ধরে রাখে,”।
এদিকে এই ছবি ভাইরাল হতেই ইতিমধ্যেই ১১ হাজারের বেশি ভিউ হয়েছে। ছোট্ট এক হস্তিশাবকের এমন এক মর্মস্পর্শী ছবি চোখে জল এনেছে অনেকের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন