Advertisment

লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীন কেঁপে উঠল স্টুডিও, আতঙ্কে বাকরুদ্ধ টিভি সঞ্চালক!

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই কম্পন অনভূত হয় অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৮।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই কম্পন অনভূত হয় অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৮।

করোনা পরিস্থিতি সামলাতেই যখন হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ, তখন আচমকাই বুধবার করোনার দোসর হিসাবে তীব্র ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল মেলবোর্ন, সিডনি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই কম্পন অনভূত হয় অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৮। কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উৎসস্থল থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূর অবধিও সেই কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল।

Advertisment

সচরাচর অস্ট্রেলিয়ায় ভূমিকম্প হয় না বলেই এ দিন সকালে তীব্র কম্পন অনুভূত হতেই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন বাসিন্দারা। চোখের সামনেই তারা নিজেদের বাড়িগুলিকে দুলতে দেখেন, একাধিক জায়গায় পাঁচিল ভেঙে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়, কম্পনের মাত্রা ছিল, ৫.৯। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিস্ট মাইক স্যান্ডিফোর্ড বলেন, “এত বড় ভূমিকম্প দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় বহু বছর হয়নি। ১৮০০ সালে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা শুনলেও তারপর থেকে এইধরনের ভূমিকম্পের কথা শোনা যায়নি।”

একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু জায়গায় আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার কম্পন ছিল। যে সমস্ত বাড়িগুলি অর্ধেক ভেঙে পড়েছে বা ফাটল ধরেছে, সেখানের বাসিন্দাদের আপাতত বাড়ির বাইরেই থাকতে বলা হয়েছে।

ভিক্টোরিয়ার শহর, মেলবোর্নের এক টিভি স্টুডিওয় সেই সময় অন্যদিনের মতো চলছিল শো। ভূমিকম্প চলাকালীন সেই টিভি স্টুডিওটি কেঁপে ওঠে। সঞ্চালকরা আতঙ্কে কথা বলা বন্ধ করে দেন। আতঙ্কে এক সঞ্চালক উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। পুরো ঘটনাটা লাইভ টিভিতে দেখা যায়। দেখুন ভিডিওঃ

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

earthquake
Advertisment