কলা নিয়ে চলছিল আলোচনা! কোন দেশের কলা কত বড় এমন আলোচনা শুনে অনুষ্ঠান চলাকালীন লাইভে কলা বিশেষজ্ঞের সামনেই খিল খিল করে হেসে উঠলেন সঞ্চালক। এমনই কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আকার, দৈর্ঘ এবং গুণমানে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কলাকে হারিয়ে দিয়েছে মুম্বইয়ে উৎপাদন হওয়া কলা। সুখ্যাতি হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় উৎপন্ন কলারও। এমনকি পাকিস্তানে এই দুই জায়গার কলা আমদানি করলে চাহিদা যে বাড়বে সে কথাও বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মুম্বই এবং ঢাকার থেকে কলা উৎপাদনের খুঁটিনাটি জেনে নিয়ে সিন্ধু প্রদেশে গবেষণা চালানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ তাহলে নাকি জমির সঠিক ব্যবহার হবে এবং আমজনতার মধ্যে কলার চাহিদাও বাড়বে।
এমন আলোচনা শুনলে যে কারও মনে হবে নিঃসন্দেহে বিভিন্ন দেশের কৃষি ব্যবস্থা নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনার বিষয়ে বলা হচ্ছে। আদৌ বিষয়টা ঠিক কি, তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তবে এই তিন দেশের কলার উৎপাদন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমের চ্যানেলে। কিন্তু এমন আলোচনা শুনে সঞ্চালিকা আর হাসি চেপে রাখতে পারেননি। হাজার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আগত অতিথি, যিনি এই কলার উৎপাদন, আকার-দৈর্ঘ্য এবং গুণমান সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, সেই বর্ষীয়ান ব্যক্তির সামনেই খিলখিল করে হেসে উঠেছেন সঞ্চালিকা।
তার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে সঞ্চালিকার নাম আলভিনা আঘা। তিনি যাঁর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তাঁর নাম নাভিদ আহমেদ। তিনি কার্যত মেনে নেন পাকিস্তানের কলার সেভাবে কোনও চাহিদা নেই, তিনি মুম্বই এবং ঢাকার কলার প্রশংসা করেন। সিন্ধু প্রদেশের কলার আকার-আয়তনের সঙ্গে তুলনা টেনে যেই না মুম্বই এবং ঢাকার কলার প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি, তখনই হাসতে শুরু করেন সঞ্চালিকা।
হাসি চেপে রাখার অনেক চেষ্টা করলেও তিনি তা আর চেপে রাখতে পারেননি। অবস্থা এমন হয় যে একসময় ওই সঞ্চালিকা কথা বলার মত অবস্থায় ছিলেন না। লাইভ চলাকালীনই খিল খিল করে হেসে ওঠেন তিনি। তার এই কাণ্ড দেখেশুনে ‘থ’ নেটিজেনরা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাতে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি ভিউ হয়েছে। আলভিনার হাসি দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেননি অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন