Viral: লকডাউনের কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল মদের দোকান। তারপর নিয়ন্ত্রিত কোভিড বিধিতে একাধিক শহর মদের দোকান খোলা-বন্ধের সময় নির্ধারিত করে দিয়েছিল। সেই সময় দেশের একাধিক শহরে মদের দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের চাতকের মতো অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ট্রোল, মিমে ছেয়ে গিয়েছিল ফেসবুক, ট্যুইটার। এবার বইপ্রেমীদের বইয়ের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন ট্রেন্ডিং হল ট্যুইটারে। দীপ্তকৃতি চৌধুরী নামে এক নেটিজেন তাঁর ট্যুইটার পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন।
Advertisment
সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের লম্বা লাইন শহরের এক প্রকাশনী সংস্থার দোকানের সামনে। সেই ছবিতে দীপ্তাকৃতির ক্যাপশন: অন্য শহরে যখন মদের জন্য লাইন পড়ে, কলকাতায় তখন বইয়ের জন্য লাইন পড়ে। শহরের এক প্রকাশনী সংস্থার দোকানের সামনে লাইন। এই ছবি ঘিরেই ফেসবুকজুড়ে চর্চা।
রসিকতার সুরে এক নেটিজেন বলেছেন, ‘কলকাতা থেকে বই পড়ে মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইতে শিফট করে।‘ এক নেটিজন আবার কলকাতাকে ঘুরিয়ে খাদ্যরসিক এবং সিনেমাপ্রেমী তকমা দিয়ে ‘হুজুগে’ শহর আখ্যা দেন। তাঁর মন্তব্য, ‘কলকাতার এক বিরিয়ানির দোকানে সামনে লম্বা লিয়ান দেখেছিলাম। শুনেছিলাম সেদিন সেই দোকান প্রথম খুলেছিল, আর সবাইকে বিরিয়ানি উপহার দিচ্ছিল। গ্ল্যাডিয়েটর তখনও অস্কার পায়নি। তাও কলকাতার এক ভরা সিনেমাহলে আমি সেই ছবি দেখেছিলাম।‘
একজন আবার নিজের বুক লাইব্রেরির ছবি ট্রেন্ডিং ট্যুইটের কমেন্টে পোস্টে করে লেখেন, ‘আমার ছোট সংগ্রহ। এটা খুব হতাশার দেশের তরুণরা বই না পড়ে রাজনীতিবিদ এবং তাঁদের ছড়ানো প্রপাগান্ডাকে বিশ্বাস করে।‘
তবে শুধু পক্ষে নয়, এই ট্যুইটের বিপক্ষেও একাধিক কমেন্ট পড়েছে। যদিও সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করেও পোস্ট হয়েছে একাধিক তথ্য এবং ছবি। এভাবেই প্রকাশনী সংস্থার দোকানের সমানে লম্বা লাইনের ছবি ভাইরাল হয়েছে ট্যুইটারে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শহরের এক নামজাদা প্রকাশনা সংস্থা এই ট্যুইটে প্রতি মন্তব্য করেছে। তাঁদের সংস্থা বইপিছু ৫০% ছাড় দিচ্ছে। এই খবর পাঠকদের জানাতেই সেই প্রতি মন্তব্য।