ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর দুটি শিশুর একসঙ্গে মিলিত হওয়ার বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া। ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই শেষে দুটি তিন বছরের শিশুর একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ভিডিও নেটিজেনদের আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।
ম্যাক পোর্টার তার ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ করার সময় একটিই অনুরোধ করেছিল, তার চিকিৎসার শেষে সে একটি বারের জন্য দেখা করতে চায় তার প্রিয় বন্ধু তিন বছর বয়সী পেসন আলটিসের সঙ্গে। তিন বছর বয়সী আলটিস নিজেও ক্যানসারে আক্রান্ত। অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান। ঈশ্বর মিলিত হওয়ার সুযোগ দিল তাদের। পুরণ হল তাদের ছোট্ট মনের এক বড় আবদার। মিলিত হওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এই ভিডিও লক্ষ লক্ষ মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছে, চোখে জলও এনেছে অনেকের।
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর তাদের এই মিলন যেন আজকের অন্ধকারময় পৃথিবীতে একবিন্দু আশার আলো ফুটিয়ে তুলেছে। এই ভিডিও লাখো মানুষের প্যানডেমিকের সঙ্গে লড়াইয়ে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। সেরে উঠব আমরা, সেরে উঠবে পৃথিবী!
সংবাদ সংস্থা সুত্রে খবর, পেইসন আলটিস এবং ম্যাক পোর্টার, দুজনের দেখা হয়েছিল ফিনিক্স চিলড্রেন হাসপাতালে। যেখানে তারা সকলেই চিকিৎসার জন্য এসেছিল। কয়েক সপ্তাহ দূরে থাকার পর, দুই বন্ধু আবারও দেখা করার সুযোগ পেল। মিলিত হল তাদের ছোট্ট দুই হৃদয়, হাসপাতালের ঠিক বাইরে। দুজনের পুনর্মিলন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এবং তা ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। ক্লিপে, পোর্টারকে একটি ফুলের তোড়া হাতে ধরে আলটিসের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। দুজন তখন জড়িয়ে ধরে। এমনকি একসঙ্গে নাচতেও থাকে। "পেইসন এবং ম্যাক চিরতরে", ট্যাগলাইনের এই ভিডিও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে তাদের পরিবার বলেন, এই মুহূর্তটি "অবিস্মরণীয়"। পোর্টারের মা ড্যানিয়েল পোর্টার বলেন, "আমাদের বাচ্চাদের একসঙ্গে মিলিত হতে দেখাটা আমাদের কাছে একটা আশীর্বাদ।" অন্যদিকে আলটিসের মা, ট্রেসি আলটিস, এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ‘দুই বন্ধুরা দেখিয়েছে কিভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়’। তিনি আরও বলেন, “শুধু শিশুদের দিকে তাকান কারণ তারাই আগামীর পথ দেখাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন