Advertisment

পরীক্ষায় নকল করতে চুলের ভিতর হেডফোন, পুলিশের জালে অভিযুক্ত

সব দেখে 'থ' দুঁদে পুলিশ আধিকারিকরাও

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

অনেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় নানা ভাবে নকল করে থাকেন। তবে প্রশ্নটা যেখানে সরকারী চাকরীর সেখানে নকল করার পদ্ধতিটাও যে অভিনব হবে তাতে আর সন্দেহ কোথায়!এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। উত্তর প্রদেশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা দিতে আসা এক যুবকের মাথার চুল থেকে মিলল হেডফোন, যেটি তার কানের সঙ্গে সেট করা ছিল। চাকরির পরীক্ষায় নকল করার পদ্ধতি দেখে অবাক নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে মেটাল ডিটেক্টরের টেস্টে পুলিশ বুঝতে পারে পরীক্ষার্থী কোনও যন্ত্র নিয়ে এসেছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সত্যি। আর এরপরই খোদ পুলিশ কর্তা ওই ভিডিও টুইট করেন।

Advertisment

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টরের টেস্ট করা হয় পুলিশের তরফে। ওই ব্যক্তিকে বসিয়ে পরচুলা খোলা হয়। তাতে দেখা যায় ইয়ারফোন রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ইয়ারফোনের সাহায্যেই নকল করছিল সে। যা দেখে হতবাক খোদ পুলিশকর্মীরা। আইপিএস আধিকারিক রুপিন শর্মা ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন এই ভিডিও। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই ভূমিকায় প্রশংসাও করেছেন তিনি।

এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়া ওই ব্যক্তির মাথার চুলের উপর পর চুলা লাগিয়েছেন। এই পর চুলা ভিতর থেকে একটি ইয়ারফোন সংযোগ দেওয়া করা হয়। কীভাবে কাজ করে এই ইয়ার ফোন? জানা গিয়েছে, এই ইয়ার ফোনের মাধ্যমে অনেক দূরে থাকা কোনও মানুষের কাছ থেকে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর জানতে পারা যাবে। এই ইয়ারফোনগুলো এতই ছোট যে একেবারে কানের ভেতরে ছিল। স্বাভাবিক অবস্থায় দেখে বোঝা সম্ভব নয় আদৌ ইয়ারফোন রয়েছে কি না। সন্দেহ হওয়ায় প্রথমে খতিয়ে দেখে পুলিশ। এমন ভিদিও দেখে অবাক নেটিজেনরা। অনেকেই ছেলেটির বুদ্ধির তারিফ করেছেন। অনেকে আবার প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন। সব মিলিয়ে পরীক্ষায় নকল করার এমন পদ্ধতি অবাক করেছে সকলকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

wig UP police exam cheating Bluetooth Headphone
Advertisment