কোথাও প্রবল জলের আকাল পড়বে। কোথাও আবার বন্যায় ভেসে যাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের ৩০ টি শহরে উল্লেখ্যজনকভাবে বাড়তে পারে ‘জল সংক্রান্ত ঝুঁকি’। যে তালিকায় আছে কলকাতাও। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’-এর (ডব্লুউ ডব্লুউ এফ) একটি সমীক্ষায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ভারতের জলসংকটের মুখে ভারতের একাধিক শহর। মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার একাধিক জেলায় তীব্র জলসংকটের ছবি স্পষ্ট হয়েছে। তার মাঝেই ভাইরাল হয়েছে ভয়াবহ এক ছবি। একটু জলের আশায় কোন রকম সতর্কতা ছাড়াই কুয়োয় নেমে গ্রামের মহিলারা জল তুলছেন। এমন দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবের মতো বিষয়ের ফলে প্রবল জলসংকটের মুখে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন শহর। গত কয়েক বছর ধরে চেন্নাই থেকে শিমলার মতো শহরে জলসংকট প্রবল হয়েছে। জল-সমস্যায় ভুগছেন অসংখ্য মানুষ। তারপরও যে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, তা নয়া সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে প্রতিবছর গ্রীষ্মে জলযন্ত্রনার ছবি স্পষ্ট! চলতি বছর গরমেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্যসরকারের তরফে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে জলযন্ত্রনার আকাল মেটাতে কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তব চিত্র কিন্তু একেবারেই আলাদা। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন জলযন্ত্রণার শিকার। ঘুসিয়ায়, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বলেছেন, জল যন্ত্রণার কারণে তারা চলতি বছর নির্বাচন বয়কট করবেন। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রামের মানুষজন জানিয়েছেন, গ্রামে তিনটি কুয়ো থাকলেও তার কোনটিতেও জল নেই। একটু জলের আশায় অনেকেই সেই কুয়োর নেমে পড়ছেন। কিন্তু জলস্তর এতটাই নীচে যে অনেকেই তার নাগাল পাচ্ছেন না। একটা নলকূপও নেই এই গ্রামে। দুর্দশার এই ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই এটিকে 'যন্ত্রণার ভিডিও' বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং আধিকারিকদের গ্রামের বাসিন্দাদের জরুরিভাবে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে প্রবল গরমের কারণে দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জেলা জল যন্ত্রণার কবলে পড়বে। সেই সঙ্গে মিলেছে সাবধানবানীও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবল জল যন্ত্রণার শিকার হতে চলেছে ভারত। ৩০টি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ শহরকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।