অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে গিয়ে নানান ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন গ্রাহকরা। এই নিয়ে একাধিক খবর আর আগে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। করোনা কালে ১৩০ টাকার খাবার খেতে গিয়ে ২৫০০০ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল বারাকপুরের এক তরুণীর। সেই মর্মে তিনি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন। এবার আবারও বিতর্কের মুখে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা ‘Zomato’ আর এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের এক গ্রাহক।
ভাইরাল হওয়া পোস্ট অনুসারে চেন্নাইয়ের এক গ্রাহক বিকাশ Zomato-র মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন অনলাইনে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেই খাবার না আসায় তিনি মেসেজ করেন ডেলিভারি এজেন্টকে। ডেলিভারি এজেন্ট তাকে জানান, ঠিকানা নিয়ে বিভ্রান্তির জেরেই খাবার পৌছাতে সমস্যা হচ্ছে। ডেলিভারি এজেন্ট তাঁকে জানান, তিনি যেন নিজে রেস্তরাঁতে ফোন করে তাঁর ঠিকানা জানান। উত্তরে বিকাশ জানান, তিনি একাধিকবার সেখানে ফোন করেছেন সেখানে তার ভাষাগত কিছু সমস্যা হচ্ছে। এবং তিনি স্বীকারও করে নেন, হিন্দি তাঁর সেভাবে জানা নেই। উত্তরে ডেলিভারি এজেন্ট তাঁকে জানান, হিন্দি আমাদের রাষ্ট্র ভাষা। সকলের একটু আধটু হিন্দি জানা দরকার।
ডেলিভারি এজেন্টের সঙ্গে বিকাশ তার কথোপকথনের স্ক্রিনশট আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরই শোরগোল পড়ে যায়। বিকাশের অভিযোগ, অনলাইন পেমেন্টের পরে দীর্ঘ সময় খাবার আসেনি। এবং হিন্দি জানেন না বলে তাঁকে টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা ‘Zomato’।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই, কোমর বেঁধে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় ‘Zomato’ কর্তৃপক্ষকে। এক বিবৃতি জারি করা হয় সংস্থার তরফে, সেখানে জানানো হয়েছে, অর্ডার সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে গ্রাহকের অর্ডার রিসিভ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে ডেলিভারি এজেন্টের হয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন ‘Zomato’ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা ভাইরাল হতে আরও একবার বিতর্কের মুখে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন