পরণে বিয়ের বেনারসি, গায়ে জড়ানো ল্যাব কোট, গলায় স্টেথোস্কোপ! পরীক্ষা হলে হাজির কনে এমনই এক ভিডিও দিন কয়েক আগেই ভাইরাল হয় সোশয়াল মিডিয়ায়। সাত দিন আগে শেয়ার করা এই ভিডিওটি ১০ লাখ (এক মিলিয়ন) বার দেখা হয়েছে।
পরণে বিয়ের বেনারসি, তার ওপর ল্যাব কোট গলায় স্টেথোস্কোপ! পরীক্ষাহলে সটান হাজির তরুণী। তাকে দেখে সকলেই তাজ্জব। বিয়ের দিনে কনের সাজে পরীক্ষা হলে পরীক্ষা দিতে এসে ভাইরাল কেরলের এক তরুণী। জানা যায় কনের নাম, শ্রী লক্ষ্মী অনিল। মেডিকেল পড়ুয়া এই তরুণী এবার হিউম্যানস অফ বোম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘মাত্র আট বছর বয়স থেকেই আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম”। কেন তাও স্পষ্ট করেন এই তরুণী।
তিনি বলেন, “আমি ৮ বছর বয়স থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। একদিন, ‘আম্মা’ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তাকে নিয়ে হাসপাতালে আমাদের রাত কাটাতে হয়। করিডোরের সেই বেঞ্চগুলিতে বসে আমি লক্ষ্য করতাম, সাদা কোট পরা কিছু মানুষ জীবন বাঁচাতে দৌড় ঝাঁপ করতে থাকেন। সেদিন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার খিদে আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। “আমি আম্মাকে বলেছিলাম, ‘আমিও মানুষকে সুস্থ করে তুলব।’ শ্রী লক্ষ্মী আরও বলেন, আমি কখনই ভাবিনি, বিয়ের দিন চূড়ান্ত পরীক্ষা পড়তে চলেছে। ‘চ্যালেঞ্জ’ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখিনি।
ভাইরাল ভিডিওতে,এক বন্ধুকে তার শাড়ি ঠিক করে দিতে দেখা যায়। অন্য একজন তার গলায় স্টেথোস্কোপ ঠিক ভাবে পরিয়ে দেন। পরীক্ষা শেষে তরুণীকে বাইরে এসে মাকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল grus_girls থেকে শেয়ার করা হয়েছে। সাত দিন আগে শেয়ার করা এই ভিডিওটি ১০ লাখ (১ মিলিয়ন) বার দেখা হয়েছে। তার এই পোস্টটি ১৫ লক্ষের কাছাকাছি ভিউ এবং হাজার হাজার মানুষ পোস্টে তাদের মন্তব্য করেছেন। অনেকের মতে পরিস্থিতিটি কিছুটা ‘অবাস্তব বলে মনে হয়েছে’ কারণ কলেজগুলি সাধারণত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় এমন পোশাক পরার অনুমতি দেয় না।