সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রতিনিয়ত মানুষের সংগ্রামের নানান কাহিনী ভাইরাল হয়। যা মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। রাজপথে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে 'বড়া পাও’ বিক্রি করছেন এক তরুণী। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই তরুণীর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে। কিন্তু কে এই বড়া পাও বিক্রেতা তরুণী! কেন'ই বা তিনি প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলছেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক
Advertisment
দিল্লির রাস্তায় কাঁদতে কাঁদতে বড়া পাও বিক্রি করতে দেখা যায় এক তরুণীকে। স্টলের বাইরে মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু চোখের জল যেন কোন বাঁধা মানছে না। নাগপুরের ডলি চা'ইওয়ালা থেকে শুরু করে এমন অনেকেই আছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছেন। তাদের বিক্রির অভিনব স্টাইল ও গুণমান মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এখন দিল্লিতে এক বড়া পাও বিক্রেতা তরুণীর কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেণ্ড করছে। ভিডিওতে আপনি দেখতে পাবেন যে মহিলার স্টলে সামনে প্রচুর মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। স্রেফ তার হাতে বড়া পাও খাবেন বলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে গ্রাহকদের।
জানা গিয়েছে মেয়েটির নাম চন্দ্রিকা দীক্ষিত। আগে হলদিরামে কাজ করতেন। ছেলের অসুস্থতার কারণে তাকে সেখানে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। এর পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বড়া পাও'য়ের স্টল চালান। যে কাছে ডেডিকেশন থাকবে তাতে সাফল্য আসবেই। এমনটাই মনে করেন চন্দ্রিকা। রান্না-বান্না করা ছিল তার ছেলেবেলার শখ। আর সেই রান্না-বান্নাকেই যে উপার্জনের পথ হিসাবে বেছে নেবেন তা কখনও ভাবেন নি চন্দ্রিকা। মুম্বাইয়ের স্টকাইলে বড়া পাও তৈরি করে লোককে পরিবেশন করেন তিনি। স্বাদ এমন জিভে জল আনার মতন। এই কারণেই চন্দ্রিকার স্টলের সামনে সব সময়ই মানুষের লম্বা লাইন চোখে পড়ে।
চন্দ্রিকার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যায় বড়া পাও বিক্রির সময় তিনি অঝোরে কেঁদে চলেছেন। কারণ প্রশাসন থেকে তাঁর তার স্টল সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি। দোকান করার সময় কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয় এবং অবিলম্বে জায়গাটি খালি করার হুমকি দিতে থাকে ওই মহিলাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এই ভিডিও। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও নানা মন্তব্য করছেন।
একজন ইউজার লিখেছেন, তারা কেন তাকে হয়রানি করছে, সে শুধু সংসার চালানোর এই স্টল দিয়েছে। একজন লিখেছেন আমরা সবাই আপনার সঙ্গে আছি। অপর এক ইউজার লিখেছেন, এটা আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে যারা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়।