লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকায় নো পার্কিং জোনে পার্ক করা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেন এক বিচারপতির ছেলে। সেই সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ তিনি কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের গালিগালাজ করেন এবং থানায় নিয়ে গেলে তাদের চড় মারার হুমকিও দেন। দীর্ঘক্ষণ তিনি কর্মচারী ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তবে দীর্ঘ হট্টগোলের পর জরিমানা প্রদান করেন তার মা।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের হজরতগঞ্জে শনিবার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার ছেলে নো পার্কিং জোনে পার্ক করা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ এবং থানায় নিয়ে যাওয়া হলে গেলে তাদের চড় মারার হুমকিও দেন। দীর্ঘক্ষণ তিনি কর্মচারী ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তবে এর পর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ফোনে কথা বলেন বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে। নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য চালান পূরণ করতে বলে, তাতে তিনি রাজি হন। এরপর বিচারকের স্ত্রী ১১০০ টাকা জরিমানা দিলে পুলিশ কর্মীরা তাকে ছেড়ে দেন।
নো পার্কিং জোনে গাড়ি পার্ক করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিচারপতির ছেলে। পুলিশ ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তুলে নেয়। কিছুক্ষণ পর বিচারপতির ছেলে সেখানে পৌঁছে হট্টগোল শুরু করে। প্রকাশ্যে তাকে পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতেও দেখা দেয়।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশকর্মীকে রীতিমতো ধমকি দিচ্ছেন ওই যুবক। তিনি বলতে থাকেন আমার গাড়িকে কেন আটকালেন? এক্ষুনি গাড়ি ছাড়ুন। পুলিশ কর্মী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। জরিমানা না দিলে গাড়ি পাবেন না।
এক নেটনাগরিক লিখেছেন, শুধু ১১০০ টাকা নয়, ইউনিফর্মের মর্যাদাহানির জন্য তার আরও জরিমানা হওয়া দরকার।