সারা বিশ্বের মাদক ব্যবসায় প্রতিবছর চলে কোটি কোটি ডলারের লেনদেনের হিসেব, যার সিংহভাগই আসে আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকোর মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে। কিন্তু এই নেশার কারবারীদের মুশকিল হয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে প্রশাসনের হাতে চলে এসেছে তাদের ধরার একাধিক অত্যাধুনিক উপায়, যার ফলে অপরাধ করতেও নানারকম অভিনব পদ্ধতির সাহায্য নিতে হচ্ছে তাদের।
যেমনটা সম্প্রতি ঘটেছে আর্জেন্টিনায়, যেখানে আপাতদৃষ্টিতে পূর্ণ গর্ভবতী এক মহিলাকে বিপুল পরিমাণ মাদক সমেত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতদৃষ্টিতে কেন? কারণ আদৌ গর্ভবতী ছিল না ওই মাদক পাচারকারী। তার স্ফীত পেটের কারণ যে বাচ্চা নয়, মাদক, তা বুঝতে বেশিক্ষণ সময় লাগে নি আধিকারিকদের।
আর্জেন্টিনার প্রধান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ন্যাশনাল জেন্ডারমারি এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা মন্ত্রক মিলে বুধবার অতর্কিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচ কিলো গাঁজা এবং ভাঙ সমেত গ্রেফতার করে দুই আর্জেন্টিনীয় নাগরিককে।
সুরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতি অনুযায়ী, মহিলার ফোলা পেট আসলে ১৫ টি গাঁজার প্যাকেটের তৈরি, এবং তার সঙ্গী পুরুষটির মালপত্র থেকে বাজেয়াপ্ত হয় আরও দুই প্যাকেট ভাঙ বা ক্যানাবিস। সব মিলিয়ে দাঁড়ায় ৫.৫ কিলো।
আর্জেন্টিনা-চিলি সীমান্তের কাছাকাছি মেন্দোজার ভায়ে দে উকো এলাকায় একটি সীমান্ত চেকপয়েন্টে একটি বাস থেকে ধরা পড়ে ওই যুগল।
আর্জেন্টিনার সুরক্ষা মন্ত্রী প্যাট্রিশিয়া বুলরিচ এই গ্রেফতারির ছবি টুইট করে জানান, "পেস্ট দিয়ে নকল পেট তৈরি করে তার ভিতরে ১৫ টি মাদকের প্যাকেট লুকিয়ে রাখে সে, এবং গর্ভবতী হওয়ার ভান করে মেন্দোজা থেকে সান্টা ক্রুজ যাওয়ার চেষ্টা করে।" ওজন করার মেশিনের ছবি থেকে বোঝা যায়, নকল পেটের ওজন ৪.৫ কিলোর বেশি।
কিছুদিন আগে এই এলাকায় হুইলচেয়ারে মাদক লুকিয়ে পাচার করার চেষ্টায় গ্রেফতার হয় আরেক মহিলা। আরও অভিনব পন্থা অবলম্বন করে আরেক দল মাদক পাচারকারী, রপ্তানি হওয়া গাজরের ভেতরে গাঁজা লুকিয়ে রেখে!