গর্ভাবস্থায় বা তার পরে মহিলাদের ওজন বেড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। যদিও স্থূলতার হার নারী ভেদে ভিন্ন হতে পারে। ডেলিভারির পর বেশিরভাগ মহিলার ওজন কমানোর কাহিনী আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। তবে এখন যে গল্প ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায় তা একেবারেই ভিন্ন স্বাদের।
অনেকেরই ওজন কমিয়ে একেবারে স্লিম হওয়ার ইচ্ছা থাকে। এর জন্য অনেকেই অনেক চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ সফল হয়েছে তো কেউ কেউ ব্যর্থও হয়েছে। আপনি যদি এমন একজন ব্যর্থ মানুষের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেন... আপনি অবশ্যই সফল হতে পারেন। তাই ওজন কমানোর বিষয়ে যদি কারুর অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়... তবে এই মহিলার কাহিনী আপনাকে আনুপ্রাণিত করবেই। কারণ তিনি এক নয়, দু কেজিও নয়... পুরো ৬২ কেজি ওজন কমিয়ে সকলকে তাক লাগিয়েছেন। তাও... এর মধ্যে রয়েছে একটা বিশেষত্ব। মহিলা তার ছেলের জন্য এতটা ওজন কমিয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই সত্যি। তিনি তার ছেলের জন্য এত ওজন কমিয়েছেন। এবার তার গল্পটা জেনে নেওয়া যাক...!
ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা এই ২৫ বছর বয়সী মহিলা... একবার তার বিশাল শরীরের কারণে একটি ওয়াটার স্লাইডে আটকে গিয়েছিলেন। তার ছেলে সেই দৃশ্য দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। তার স্বামী তাকে টেনে বের করার চেষ্টা করেন। তার সাহায্যে তিনি ওয়াটার স্লাইড থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। সে সময় তার ওজন ছিল প্রায় ১১৪ কেজি, যাইহোক.. ছেলের কাছে নিজেকে এভাবে দেখে খুব বিব্রত বোধ করেছিলেন ওই মহিলা। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে ওজনটা কমাতেই হবে।
গর্ভাবস্থায় যে অস্ত্রোপচারের কারণে তার ওজন বেড়েছে। তিনি তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনেন। তিনি ডায়েটে পরিবর্তন আনতে শুরু করেন এবং ওয়ার্কআউট করতে শুরু করেন। আবার তাকে ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে.. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা প্রতিরোধে সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেন তিনি। তিনি তার ওয়ার্কআউট এবং ডায়েট এসবের ফলে ৬২ কেজি ওজন কমিয়েছেন। তার বর্তমান ওজন ৫৩ কেজি। তার এই পরিবর্তন দেখে সবাই অবাক।