হুইলচেয়ার নিয়ে রেস্তোরাঁর ভিতরে ঢুকলে অন্য অতিথিদের অসুবিধে হবে। এই যুক্তিতে গুরগাঁওয়ের একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ বিশেষ ভাবে সক্ষম এক যুবতীর। এবং সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম সৃষ্টি পান্ডে।
টুইটারে তিনি ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেছেন। কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, 'আমি আমার প্রিয় বন্ধু ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে গত রাতে গুরগাঁও রাস্তায় গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর বেরিয়েছিলাম আমি। ভেবেছিলাম খুব আনন্দ করব। আমার বন্ধুর দাদা আমাদের চারজনের জন্য টেবিল বুকিং করতে চান। ডেস্কে থাকা স্টাফ দু'বার দাদাকে এড়িয়ে যান। তৃতীয় বার জিজ্ঞেস করার পর কর্মী বলেন, হুইলচেয়ার ভিতরে যাবে না। আমরা প্রথমে ভাবি, হয়তো ঢুকতে অসুবিধে হবে বলে উনি বলছেন। পরে দেখলাম বিষয়টা আলাদা। আমরা বলি, আমরা ব্যবস্থা করে নেব, আপনি শুধু টেবিলটা দিন আমাদের। উনি তখন আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ভিতরে অতিথিরা বিরক্ত হবেন। এবং আমাদের ঢুকতে দেননি তিনি। আমরা হতবাক হয়ে যাই।'
এই ঘটনার পরই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুরুগ্রামের এই রেস্তোরাঁর কর্মীদের এমন ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করে। ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আসরে নামতে হয় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে। ক্ষমা চাওয়া হয়েছে ওই রেস্তোরাঁর তরফে। এবং ঘটনার তদন্তের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর গুরুগ্রামের পুলিশও সৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একাধিক সেলেবও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।