ফুগলার কাণ্ড কারখানায় সোশ্যাল মিডিয়া বুঁদ, দুষ্টুমির ওস্তাদ এখন তুমুল জনপ্রিয়

কবিতা থেকে দেবের গান ঠোঁটের আগায় ফুগলার

কবিতা থেকে দেবের গান ঠোঁটের আগায় ফুগলার

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
ফুগলা - fugla

ফুগলা - দ্যা ওয়ান্ডার বয় - এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

হাট্টি মাটিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম এই কবিতা ছোট থেকে একটা সময় পর্যন্ত সকলেই আওরেছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কবিতাই ভিন্ন আদলে বলে চলেছে ফুগলা। শারীরিক ভঙ্গি দেখলে হাসি না পেয়ে রেহাই নেই। মাঝে মাঝেই ফোকলা হাসি, আর দুষ্টুমিতে বাংলার ঘরে ঘরে আজ সকলের প্রিয় ফুগলা। তাকে নিয়ে জানতে সকলেই বেজায় আগ্রহী। ফুগলা এবং তার ম্যামের এই যুগলবন্দি একদিন না দেখলে যেন সকলেরই মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ছোট্ট ফুগলা বাস্তবে আসলে কেমন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সেই কথাই জানাল সে নিজে এবং তার বাবা-মা।

Advertisment

ফুগলার বাবা মা নাকি আপনাদের নিজস্ব পরিচিতি, লোকজন কীভাবে আপনাদের চেনেন?

অবশ্যই ফুগলার বাবা - মা। যেখানে যাই সবাই ওকে এত ভালবাসে। ওকে আদর দেয়, সত্যি বলছি খুব ভাল লাগে। ওকে নিয়ে সবাই ছবি তুলতে চায়। ওর যে এতটা পরিচিতি সেটাই আমাদের কাছে অনেক।

ওর আন্টি যখন ওর ভিডিও বানায় তখন আপনারা জানতেন?

Advertisment

না, সত্যি বলতে কি আমরা গ্রামের মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। তবে ওর আন্টি ওকে ভালবেসে পড়ায়, একদিন এরকমই মজার ছলে একটা ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করে। তারপর আমার ছেলে এত জনপ্রিয় হয়ে যায় যে ও নিজেও ভয় পেয়েছিল। তখন আমাদের জানায়, যে আমরা কিছু মনে করব কিনা। আমরা নিজেরাও ওর আন্টি-কে খুব ভালবাসি, ও নিজের মত করে ফুগলাকে ভালবাসে। টাই ওকে ভরসা ডি, যে এতে কিছুই মনে করার নেই।

publive-image
ফুগলার দুষ্টুমি - এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

ওঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে আপনাদের ভয় হয়?

ভয় বলতে, সেরকম কিছু নেই। তবে ছোট থেকেই এত জায়গায় ওর পরিচিতি। আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে যেন পড়াশোনায় কোনও খামতি না থাকে। ওটা আসল। পড়াশোনায় আমার ছেলে খুব ভাল। স্মৃতিশক্তি খুব প্রখর। শুধু সবদিক ম্যানেজ করতে পারলেই হল।

ওকে অনেকেই ছোট বিশ্বনাথ বলে ডাকে, এটা নিয়ে কী বলবেন?

( ফুগলার বাবা হেসে ) হ্যাঁ! আমরা অনেক কমেন্ট এরকম দেখেছি। সত্যিই এতে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকেই ওকে উনার সঙ্গে মুখের মিল আছে বলে তুলনা করেন। এই যে ভালবাসা সেটা বোধহয় ওর আন্টি ভিডিও না বানালে হত না।

খুবই ছোট ও, ক্যামেরা-জনপ্রিয়তা এগুলো বুঝতে পারে?

ছোট থেকে ও খুব ম্যাচিওর। ছয় মাস বয়স থেকে কথা একদম পরিষ্কার। মাঝে মাঝে ক্যামেরা দেখলে রেগে যায় তবে, আবার কিন্তু আগের মত নর্মাল হয়ে যায় না বলে না। এখন ক্যামেরা বুঝতে পারে। সবথেকে মজার বিষয় আগে তো বলত, আমার আন্টি আমায় ভাইরাস করে দিয়েছে। এখন ওকে অনেক কষ্ট বুঝিয়ে শিখিয়ে ভাইরাল করা হয়েছে।

publive-image
মা-বাবার সঙ্গে- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

দুষ্টুমিতে তো সাংঘাতিক! বাড়িতে কী করে ফুগলা?

ও ভীষণ দুষ্টু! তবে হ্যাঁ শান্ত দুষ্টুমি বেশি করে। এক জায়গায় বসে ওর যত কাণ্ড কারখানা। আর খুব কথা বলে। চুপ করে থাকতে পারেই না।

এ তো গেল ফুগলার বাবা মায়ের বক্তব্য, সে নিজেও কিন্তু কথায় কম যায় না। চার বছরের ছোট্ট ফুগলা নিজের পছন্দ অপছন্দের কথা ভালই বলতে পারে। দেবকে হিরো হিসেবে তার খুব পছন্দ। ফিকফিক করে হেসে সে বলে, "দেব যখন নাচে শুটিং করে তখন আমার খুব ভাল লাগে"। দুষ্টুমিতে সে ওস্তাদ এ কথাও না বললেই নয়। সুপ্রদীপ অর্থাৎ ফুগলা নিজের স্কুলেও সমান জনপ্রিয়। সকলেই তাকে খুব ভালবাসে। ঠোঁটের আগায় মুখস্থ ছড়া। চটপট একের পর এক কবিতা বলে তাক লাগিয়ে দিতে পারে খুদে তারকা!

publive-image
শান্ত ফুগলা- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

সুন্দরবনে নিজেদের আসল বাড়ি, আপাতত কাজ এবং ফুগলার পড়াশোনার কারণেই তারা থাকেন ক্যানিংয়ে। সারাদিন ঘরের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি এবং দুষ্টুমি করেই তার দিন কাটে। আর তার আন্টির ভূমিকা নিয়ে না বললেই নেই। ফুগলাকে সকলের মণিকোঠায় পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র উৎস সেইই। ফুগলার সঙ্গেই তাঁর পরিবারও আন্টির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।

viral West Bengal