কোভিডে মৃত মালিক, তিনমাস ধরে হাসপাতালেই প্রতীক্ষায় পোষ্য

কুকুরটিকে ডগ শেল্টার কেন্দ্রে পাঠানোর সময় হাসপাতাল চত্ত্বর মোটেই ছাড়তে চাইনি সে। পাছে মালিককে হারিয়ে ফেলে।

কুকুরটিকে ডগ শেল্টার কেন্দ্রে পাঠানোর সময় হাসপাতাল চত্ত্বর মোটেই ছাড়তে চাইনি সে। পাছে মালিককে হারিয়ে ফেলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গৃহকর্তা মারা গিয়েছেন। পোষ্য সেখবর রাখেনি। তাই মালিকের জন্য অনন্ত প্রতীক্ষায় রত সে। এমন কাহিনী বললেই মনে পড়ে যায় জাপানি কুকুর হাচিকোর কথা। মৃত মালিকের জন্য নয় বছর এক জায়গায় অপেক্ষা করেছিল সে। হাচিকোর সেই কাহিনী এখন গল্পগাথায় পরিণত হয়েছে।

Advertisment

হাচিকোর স্মৃতি জীবন্ত করেই এবার একই কাণ্ড ঘটল চিনের কুখ্যাত উহান শহরে। উহান হাসপাতালে তিন মাস আগে মৃত মালিকের জন্য এখন ওয়েটিং রুমে বসে রয়েছে সে। না জেনেই যে তার মালিক না দেখার দেশে চলে গিয়েছেন। মঙ্গরেল প্রজাতির সেই কুকুরের নাম 'জিয়াও বাও'।

Advertisment

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালিক করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন উহান হাসপাতালে। ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই মারা যান তিনি। তবে তার পোষ্য সেখবর রাখেনি। সে ওয়েটিং রুমের লবিতে এখনো প্রতীক্ষায়। মালিক কবে তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে, সেই আশায় বসে রয়েছে সাত বছরের জিয়াও বাও।

ডেইলি মেইল এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতদিন উহান তাইকং হাসপাতালের কর্মীরা কুকুরটির দেখভাল করছিলেন। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই তাকে একটি ডগ শেল্টার কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, হাসপাতালের কর্মী কুকুরটিকে খাওয়াতেন। লকডাউন ওঠার পরে সেই দায়িত্ব নেন একজন দোকানের মালিক ইউ কুইফেন। দ্য মেট্রো সংবাদপত্রে তিনি জানিয়েছেন, "এপ্রিল মাসে কাজে ফেরার পরে কুকুরটিকে আমার চোখে পড়ে। আমি ওকে জিয়াও বাও নাম দিয়েছি। এই নামেই ওকে ডাকি।"

জানা গিয়েছে, কুকুরটিকে ডগ শেল্টার কেন্দ্রে পাঠানোর সময় হাসপাতাল চত্ত্বর মোটেই ছাড়তে চাইনি সে। পাছে মালিককে হারিয়ে ফেলে। তবে হাসপাতাল চত্ত্বরে অনেকেই কুকুর থাকার বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছিলেন। তারপরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে 'উহান স্মল এনিম্যাল প্রোটেকশন এসোসিয়েশন' এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

জিয়াও বাওয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পরেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি নেটিজেনরা।

viral news COVID-19