ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা, কারণ জানলে চমকে যাবেন! সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনামে আসার জন্য কিছু মানুষ ভয়ঙ্কর স্টান্টের মুখোমুখি হতেই দ্বিধাবোধ করেন না। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে এই ইউটিউবার শুধুমাত্র ভিউ পাওয়ার জন্য এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি যাতে ভাইরাল হয় তার জন্য বিমান নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে দুর্ঘটনা ঘটান। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ৩০ লক্ষের বেশি ভিউ হয়েছে।
Advertisment
এই কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি তদন্তকারী সংস্থার রাডারে চলে আসেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ইউটিউবারকে। যেখানে তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন যাতে তার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়। জানা গিয়েছে ইউটিউবারটির নাম ট্রেভর জ্যাকব। এমন কাণ্ডের জন্য ইউটিউবারের ২০ বছর জেল পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জ্যাকবের প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট বাতিল করেছে।
এই প্লেন ক্র্যাশ ভিডিও পোস্ট করার সময়, ইউটিউবার ক্যাপশনে লিখেছেন – আমি আমার প্লেন ক্র্যাশ করেছি। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, জ্যাকব বিমানের ভেতরে একটি ক্যামেরা রেখে বিমানটিতে সওয়ার থাকাকালীন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটান। এরপর সে তার প্যারাসুট বের করে প্লেন থেকে লাফ দেন। এই ঘটনার সময় জ্যাকবের হাতে একটি সেলফি স্টিকও দেখা যায়। পুরো ঘটনা তিনি নিজেই ক্যামেরা বন্দী করেন।
এই ভিডিওতে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে বিমান দুর্ঘটনার সময়, জ্যাকব ইতিমধ্যেই একটি প্যারাস্যুট নিয়ে ক্যামেরায় নিজেকে রেকর্ড করার সময় প্রস্তুত ছিলেন এবং লাফ দেওয়ার পরেও তিনি নিজেকে ক্যামেরায় দেখাচ্ছেন। তাই এই ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যায় যে এই দুর্ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে। এফএএ আরও বলেছে যে এমন জরুরি অবস্থার সময়েও জ্যাকব ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি বা ইঞ্জিন রিস্টার্ট করেননি। অবতরণের জন্য অনেক জায়গা ছিল যেখানে তিনি নিরাপদে তার বিমান অবতরণ করতে পারেন কিন্তু তিনি তা করেননি।