সাধ হয়েছিল পিৎজা খাওয়ার! রাত তখন সবে ১০টা বেজে ১৫ মিনিট। অনলাইন ফুড ডেলিভারি চেইন জোম্যাটোর মাধ্যমে একটি পিৎজা অর্ডার করেন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ পরে তিনি তার মোবাইলে একটি মেসেজ পান তাতে লেখা, অনিবার্য কারণ বশত আপনার অর্ডারটি বাতিল করা হল। এতেই বেজায় চটে যান তিনি।
ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল চণ্ডীগড় স্টেট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন। অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোমাটোকে সেদিনের পিৎজা অর্ডার বাতিল করার জন্য চণ্ডীগড়ের বাসিন্দাকে ১০ হাজার টাকার জরিমানা সঙ্গে ফ্রি মিল দেওয়ার সুপারিশ করে। আদেশে আরও বলা হয়েছে অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে খাবার অর্ডার করা হলে হয় যিনি অর্ডার করছেন তিনি খাবার পাবেন না হয় সময়মতো তাকে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: < অবিকল একই দেখতে ৭৬ পড়ুয়াকে, চিনতে হিমশিম শিক্ষকদের! >
২০২০ সালের একটি মামলায় অজয় শর্মা জানান, তিনি ২৮৭ টাকার মূল্যের একটি পিৎজা অর্ডার করার পরে কিছুক্ষণ পরে সেটি বাতিল করে জোম্যাটো। আদালত তার রায়ে জানান, অন-টাইম ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকলে অর্ডারটি গ্রহণ করা অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার উচিৎ ছিল না। এর ফলে গ্রাহককে চরম শারীরিক হয়রানি এবং মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়।
বিচারপতি রাজ শেখর আত্রি এবং বিচারপতি রাজেশ কে আর্য এই আদেশ ঘোষণা করে বলেন, এ ধরনের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তার শর্ত পূরণ করতে না পারলে প্রকাশ করা উচিত নয়। আদালতের এই রায়ে খুশি মামলাকারী। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা আরও সুরক্ষিত হল।