WB Madhyamik result 2025-Foody Bangali: প্রকাশিত হলো মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মাধ্যমিক মানে জীবনের বড় পরীক্ষা এবং একটু-আধটু টেনশন। এবং টেনশন হওয়ারই কথা কারণ এই প্রথম স্কুলের বাইরে গিয়ে বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার মতো অনুভূতি। আর সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন যে বুক দুরু দুরু করবে না এ কথা কিন্তু বলাই যায় না। সোশ্যাল মিডিয়া স্টার ফুডি বাঙ্গালীর স্মৃতিতে মাধ্যমিকের ঘটনা আজও তাজা। রেজাল্টের সঙ্গে সঙ্গে তার আরো একটি চাপ ছিল, সেটি কি?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা তরফে সোশ্যাল মিডিয়া আইকনের কাছে ফোন যেতেই, তিনি হেসে গড়ালেন। মাধ্যমিক দিয়েছেন বহুবছর হয়ে গেছে। এখন নিজের পেশার পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েশনটাকেই তিনি সব থেকে বেশি ইম্পর্টেন্স দেন। কিন্তু মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর ঘটনা সকলের কাছে একটি অন্যরকম অনুভূতি। ফুডি বাঙ্গালীর কাছেও কিছু কম নয়। তিনি পিওর সাইন্সের ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিকে পিওর সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে সমস্ত সাবজেক্টে পড়তে হয় একজন ছাত্রকে। তিনি বললেন...
"আমার যেটা পড়তে ভাল লাগত না, আমার কোনকালেই সেটা ভাল লাগতো। সাইন্স টা ভাল্লাগতো এবং যেহেতু বিজ্ঞান নিয়ে পরবর্তীতে পড়াশোনা করেছে সাইন্সে ভালই নাম্বার পেয়েছিলাম। কিন্তু হিস্ট্রি আর্টসের বিষয় গুলো পড়তে আমার খুব বিরক্ত লাগত। মোটামুটি যেরকম ভেবেছিলাম আর্টসে সেরকমই পেয়েছিলাম। খারাপ রেজাল্ট আমার হয়নি। আমার মনে আছে, লোকের বাড়িতে বাড়িতে মিষ্টি পাঠানো হয়েছিল রসগোল্লা আনা হয়েছিল।" কিন্তু...
Jhilam Gupta on Madhyamik Result: অঙ্ক শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছিল, মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরব ভাবিনি: ঝিলাম গুপ্ত
এই কিন্তুর পেছনে লুকিয়ে আছে তার চাপের কারণ। আর পাঁচটা বাচ্চার যে ধরনের ভয় থাকে ফুডি বাঙালির মধ্যেও সেই ভয়টাই ছিল। কিন্তু সেটা কী ভয়? প্রত্যেক বাড়িতেই, সমবয়সী ভাই-বোনরা থাকে। এবং একটা ব্যাচে হয়তো ৩-৪ জন ভাইবোন একসঙ্গে পরীক্ষা দেয়। ফুডী বাঙালির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তিনি বলেন, "যে আমার কাছে চাপ ছিল একটাই, আমি যে বছর পরীক্ষা দিয়েছিলাম আমার অনেক ভাই বোনরাও সেই বছর পরীক্ষা দিয়েছিল। এবার যেটা হয়ে থাকে। কে বেশি পেল ওকে কম পেল সেই নিয়ে একটা আলোচনা হতই। আমি সেই ভয়টাই পেয়েছিলাম প্রথম থেকে। যে একটু যদি খারাপ হয়ে যায়, তাহলে কী হবে? যদি অল্পের জন্য স্টার মিস হয়ে যায়! এর বেশি ভয় আমার খুব একটা ছিল না।"
কিন্তু তিনি এও জানান, তার মাধ্যমিকের খাতা খুব সুন্দর এবং ফেয়ার দেখা হয়েছিল। অংক পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তীতে বাড়িতে এসে মেলাতে বুঝতে পেরেছিলেন যে এই অংকটা ভুল করে এসেছেন, এবং বুঝে নিয়েছিলেন যে এই নম্বরটা কাটা যাবে, হয়েছিল তাই।