বাংলা মানেই মাছে ভাতে,  মোহনবাগান টু ইস্টবেংগল, বাংলা মানেই ইলিশ-চিংড়ি আর পোস্তের বড়া। বাংলা মানে মন কারা স্বাদের রসগোল্লা। বাঙালির হাতের রান্নার কেরামতি জগতজোড়া।

বছররের প্রথম দিনে সেই বাঙালির নানা পদ নিয়ে প্রস্তুত প্রিন্সটন ক্লাব। যদিও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের পাশাপাশি ভোজনরসিকদের কাছে অন্যতম প্রিয় জায়গা এই   প্রিন্সটন ক্লাব।

ইলিশ থেকে ভেটকি বা চিংড়ির সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে যেকোনো জনপ্রিয় বাঙালি খাবার চেখে দেখতে হলে ঢু মারতে হবে প্রিন্সটন ক্লাবে।

চলতি বছরের ১৫-ই  এপ্রিল লাঞ্চ এবং ডিনার দুটো সময়ে মিলবে এই বাঙালিয়ানার স্বাদ।  গন্ধরাজ দই এর সরবত দিয়ে শুরু করে, কড়াইশুটীর কচুরি সহ জমিদারী সুক্ত, ধোঁকা, পনিরের ডালনা, নারকেল চালকুমড়ো দিয়ে ঘন্ট, ছানার পুর দিয়ে পটলের দরমা এর মতো অন্যান্য  জিভে জল আনা পদ থাকছে ভোজন রসিকদের জন্য।

শুধু নিরামিষই নয় থাকছে আমিষের সুস্বাদু খাবারের সমারোহ। থাকছে পোস্ত বাটা মুরগি সহ বাঙালি প্রিয় গরমাগরম কচি পাঠা আলু দিয়ে ঝোল। ইলিশ প্রিয়দের জন্য থাকছে, ভাজা ইলিশ, সরষে ইলিশ, কালো জিরা ও বেগুন দিয়ে ইলিশের ঝোল সহ বাঙালি ধাচের চিংড়ির মালাইকারী।

আর হ্যা মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোনো ভোজই সম্পূর্ণ হয় না। মিষ্টির মধ্যে থাকছে প্রিন্সটন ক্লাবের স্পেশাল আম দই এবং রাজভোগ।

প্রিন্সটন ক্লাবের অপারেশন ম্যানেজার সঞ্জয় কর্মকার বলেন,  বাংলা নববর্ষ একটি শুভ উপলক্ষ যখন আমরা নতুন পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের সাথে দিনটি উদযাপন করি।  প্রিন্সটন ক্লাব, তার সুস্বাদু রন্ধন এবং তার নিজস্ব সৌন্দর্য্যতার জন্য বিখ্যাত। বাঙালিরা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি সবসময় আগ্রহী।

অতিথিদের বাঙালি রান্নাঘরের খাঁটি স্বাদ দেওয়ার জন্য শেফ অভিজিৎ চক্রবর্তীর দ্বারা এই পয়ালা বৈশাখের ভুরিভোজ উত্সবটি বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ বাংলার সংস্কৃতি এবং স্বাদ নিতে বছরের প্রথম দিনে আসতেই হবে প্রিন্সটন ক্লাবে। (বুফেটির দাম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭৪৯ টাকা এবং ছোটদের জন্য ৫৪৯ টাকা)।