এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
Sep 28, 2022
Anurupa Chakraborty
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
গ্রাম বাংলায় উৎসব মানেই এককালে ছিল যাত্রাপালা। বিখ্যাত সব শিল্পীদের মঞ্চ মাতানো আর তারসঙ্গে রাতের পর রাত জেগে যাত্রা উপভোগ, কিন্তু আজ হারিয়ে গেছে সেসব দিন। যাত্রাও কমেছে। পাথুরিয়াঘাটার এবারের থিম সেই নিয়েই।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
থিমের নাম বেপাত্তা বিবেক। শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে, যাত্রার নানা সরঞ্জাম। মাইক থেকে শুরু করে নানান বাদ্যযন্ত্র সবকিছুই। পুজোর সদস্য অরিজিৎ হাজরা জানান, যাত্রাকে ফিরিয়ে আনতেই এই থিম এবং উদ্যোগ।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
শুধু মণ্ডপ নয়, বরং মাতৃ মূর্তিতে রয়েছে চমক। সেই প্রতিমা বানানো হয়েছে নানান সরঞ্জাম দিয়ে। তলোয়ার থেকে নানা কিছু, অসাধারণ ঝলক মিলবে দেবী মূর্তির।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
অরিজিৎ হাজরা বললেন, মণ্ডপের ভেতরে যে বিশেষ আয়োজন রয়েছে তা কিন্তু এখানে না এলে একেবারেই বোঝা সম্ভব নয়। যারা আসবেন একমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
বেশ কিছু ক্যারেকটার তৈরি করা হয়েছে যেগুলি আসলেই জীবন্ত। আক্ষরিক অর্থে না, তাদের পরনে ধুতি এবং গামছা যেন এমনই জানান দিচ্ছে যে তারাও আসলে মানুষ। নিজেদের পেশা ফিরে পেতে মহামায়ার কাছে আর্জি জানাচ্ছে তাঁরা।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
এককালে এই পেশাতে যুক্ত ছিলেন বহু মানুষ। তাদের সংসার চলত যাত্রার ওপর ভর করে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। যাত্রা এখন অতীত। মণ্ডপের ভেতরে বেজে চলেছে সংলাপ। পুরনো দিনে ফিরে যেতেই হবে দর্শনার্থীদের এমনটাই প্রত্যাশা কর্মকর্তাদের।
এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
পূজো মানেই অভিনব আয়োজন। তাঁর সঙ্গে পাড়ায় পাড়ায় লড়াই। যদিও বা পুজোর সঙ্গে জরিয়ে থাকে সামাজিক বার্তা দেওয়ার লড়াই। পাথুরিয়াঘাটার এবারের নিবেদন বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই সংস্কৃতির প্রতি। আজও প্রত্যন্ত গ্রামে যাত্রাপালার চল থাকলেও শহর কিংবা মফসসলে হারিয়েছে সেই রীতি।