New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/21/xI4NC7AEeqmFpDcQsnPp.jpg)
ভারতীয় গবেষককে দেশ ছাড়া করতে পারবে না ট্রাম্প! বিরাট নির্দেশ মার্কিন আদালতের
US Court Blocks Deportation of Indian Researcher Badar Khan Suri: হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ভারতীয় গবেষক বদর খান সুরিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু এবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত।
ভারতীয় গবেষককে দেশ ছাড়া করতে পারবে না ট্রাম্প! বিরাট নির্দেশ মার্কিন আদালতের
US Court Blocks Deportation of Indian Researcher Badar Khan Suri: ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন মার্কিন বিচারক, ভারতীয় গবেষকের নির্বাসন স্থগিত। হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ভারতীয় গবেষক বদর খান সুরিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু এবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত।
ভারতের বাসিন্দা বদর খান সুরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক। সোমবার (১৭ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামাসের হয়ে প্রচার ছড়ানোর অভিযোগে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার নির্বাসনের প্রস্তুতিও চলছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তের আগেই আমেরিকান আদালত এই নির্বাসনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
হামাসের সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ভারতীয় গবেষণা পণ্ডিত বদর খান সুরিকে বহিষ্কারের ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে মার্কিন জেলা আদালত। ভারতীয় গবেষক বদর খান সুরির নির্বাসন নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকান আদালত। মার্কিন সরকার দাবি করেছিল বদর খান হামাস-পন্থী প্রচার চালাচ্ছিল এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
'অপরাধের কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি'
তবে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনও অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। বদর খান সুরির আইনজীবী এবং একাধিক মানবাধিকার সংগঠন তাঁর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার নাগরিক অধিকার সংস্থা ACLU তার গ্রেফতারিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে এবং আদালতে একটি জরুরি আবেদন দাখিল করে। আইনজীবীরা বলছেন যে এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল মানুষকে ভয় দেখানো এবং মুখ বন্ধ করা।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ও তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে বদর খান সুরি কোনও অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের জানা ছিল না। পাশাপাশি এই মামলায় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পক্ষেও সওয়াল করা হয়। এদিকে, ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমেরিকায় উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি একজন ফরাসি মহাকাশ বিজ্ঞানীকেও আমেরিকায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে কারণ তার ফোনে কিছু মার্কিন সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কিছু বার্তা পাওয়া গিয়েছে।
এখন আদালতের সর্বশেষ সিদ্ধান্তে খানিক স্বস্তি পেয়েছেন ভারতীয় গবেষক বদর খান সুরি। কিন্তু তার আইনি লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই বিষয়ে আরও একাধিক শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যা আমেরিকায় বাকস্বাধীনতা এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।