কলকাতার শহিদ মিনার চত্বরে ডিএ আন্দোলন শনিবার ১০০ দিনে পা দিয়েছে। শততম দিনের এই আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ মহামিছিলে আন্দোলনকারীরা। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনের রাস্তা হরিশ মুখার্জি রোড ধরে মিছিল করেন আন্দোলনকারী। হাজরা মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মহামিছিলকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ ছিল মহানগরী, তৈরি ছিল জলকামানও। এদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছতেই ওঠে 'চোর' 'চোর' স্লোগান।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। এর আগে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে আজকের এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেই অনুতি আদায় করে আনেন আন্দোলনকারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ, স্বচ্ছ নিয়োগ-সহ মোট ৪ দফা দাবিতে কলকাতার শহিদ মিনার চত্বরে একটানা ধর্না-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেও সুরাহা হয়নি। নবান্নের বৈঠক কার্যত নিষ্ফলাই থেকে গিয়েছে। আজ শততম দিনে পড়ল ডিএ আন্দোলন। এখনও দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। চোয়াল শক্ত রেখে জারি রয়েছে আন্দোলন। শনিবার হাজরা মোড়ে জমায়েত করে শাঁখ বাজিয়ে মিছিল শুরু হয়।
আরও পড়ুন- রূপের ডালি সাজিয়ে তৈরি প্রকৃতি! পাহাড়ি গাঁয়ের চোখ জুড়নো শোভা মনে ঝড় তুলবে!
হাজরার দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ও ডিএন রোড ধরে আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে এসপি মুকার্জি রোড পেরিয়ে গিয়ে হাজরা মোড়ে মহামিছিল শেষ। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। তবে রাজ্য সরকারও এব্যাপারে বারবার তাঁদের অবস্থান স্পস্ট করেছে। রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে এর চেয়ে বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় বলে বারবার জানিয়েছে সরকার। এর আগে আন্দোলনের জেরে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল রাজ্য। তবে তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ চান আন্দোলনকারীরা।