এবার রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস পাঠাল রাজ্য সরকারের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। গত সপ্তাহেই এক ভিডিও বার্তায় উপাচার্যদের মেয়াদ না বাড়ানোর কারণ হিসাবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করেছিলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস৷ রাজ্যপাল তথা আচার্যের সেই মন্তব্যে 'মানহানি' হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন উপাচার্যদের একাংশ৷ এর প্রেক্ষিতেই আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যপাল তথা রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ক্ষমা না চাইলে মামলারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত সপ্তাহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই ভিডিও বার্তায় প্রাক্তন উপাচার্যদের মেয়াদ না বাড়ানোর পিছনে মূলত তিনটি মূল অভিযোগ তুলেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। ছাত্রীদের হেনস্থা, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা এবং রাজনৈতিক যোগ- এই তিন কারণকে 'অবমাননাকর' বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন রাজ্য সরকারের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, 'উনি বলেছেন আমরা নাকি দুর্নীতিপরায়ণ, আমরা নাকি রাজনৈতিক খেলা খেলছি। কেউ কেউ ছাত্রীদের হেনস্থা করেছে। তাই উনি আমাদের উপাচার্য করছিলেন না। আমরা চারপাতার আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। উনি চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি করছেন। বাংলার শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। ওনার আর সরকারের ব্যাপার। আমাদের কেন টানছেন এসবের মধ্যে। আইন মেনে তো সবটা করতে হবে। ওনার যদি আইন না পছন্দ হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আইন বদল করে নিন। মিডনাইট ড্রামা করেন। উনি ভাবছেন বলে দিলেই হয়ে যাবে। হবে না। ওনাকে বলতে হবে কে দুর্নীতিগ্রস্ত।'