সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে খুন করে খালের ধারে পুঁতে দেওয়া অভিযোগ উঠল বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বারাসতের উত্তর কালিকাপুর গ্রামে বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল ও মাধবী মণ্ডলের বছর দুয়েকের একটি কন্যাসন্তান আছে। গত ১৫ দিন আগে মাধবী আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এলাকাবাসীরা জানান, সদ্যোজাত ওই শিশুটিকে একপ্রকার মেরে ফেলেছেন এই দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান জন্মানোয় খুশি ছিলেন না সঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী। জন্মের কয়েকদিন পরই শিশুটি নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়। অসুস্থ শিশু কন্যার কোনও চিকিৎসা করাননি বাবা-মা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। অবশেষে, অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা যায় শিশুটি। অভিযোগ, ঘটনার কথা যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্য তড়িঘড়ি বাড়ির কাছে খালপাড়ে সদ্যোজাতের দেহ পুঁতে দেয় সঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন, সাড়ে চার বছরের শিশুকে খুন করে গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ খুড়তুতো দাদার বিরুদ্ধে
পড়শিদের অভিযোগ, পর পর কন্যাসন্তান হওয়ায় দম্পতি এভাবেই 'খুন' করে সদ্যোজাতকে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার পর শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের।
খাল পাড়ের ওই এলাকা থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলেই সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। পাশাপাশি, কয়েকদিন ধরে শিশুর কান্নার আওয়াজও শোনা যাচ্ছিল না। সন্দেহ হতেই তাঁরা সঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রীকে চেপে ধরেন। প্রথমে কিছু বলতে চায়নি দম্পতি। পরে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন সঞ্জয় ও মাধবী।
সঙ্গে সঙ্গেই জয়নগর থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিস এসে সদ্যোজাতের দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই বাড়ি তালা বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয় ও মাধবী।