Advertisment

Hooghly News: গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ১৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ্য গোষ্ঠদ্বন্দ্বে উল্লাসিত বিরোধীরা।

IE Bangla Web Desk এবং Sayan Sarkar
New Update
BANSBERIA Municipality

গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ১৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিক্ষোভে তোলপাড়

Bansberia municipality: চরম অন্তর্কলহ। ২১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫জন সরাসরি পুর চেয়ারম্যানের অফিস ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় শনিবার হুলস্থুল কাণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ্য গোষ্ঠদ্বন্দ্বে উল্লাসিত বিরোধীরা।

Advertisment

লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় প্রায় ১২ হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল শাসক দল। ১, ১১ ও ১৯ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৩ ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। বাকি ১৯টি ওয়ার্ডে লীড নিয়েছে বিজেপি। আর এই ফলাফল সামনে আসতেই এখানে বেআব্রু হয়ে পড়েছে শাসক দল। ২২ টি আসন বিশিষ্ট এই পুরবোর্ডে ২১ জনই তৃণমূলের কাউন্সিলর। বাকি একজন বামফ্রন্টের। নজিরবিহীন ভাবে এদিন সকাল থেকেই শাসক দলের ১৫ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর ঘরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন। বিক্ষোভ কারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা কাউন্সিলর। হাতে তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। সবই চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে।

তাঁদের অভিযোগ, "দীর্ঘদিন ধরে বাঁশবেড়িয়ার অধিকাংশ ওয়ার্ডে উন্নয়ন স্তব্ধ। পুরপ্রধানের ব্যবহার ভালো নয়। অভব্য আচরণ। দলীয় কাউন্সিলররা প্রায় কেউই পারতপক্ষে চেয়ারম্যান এর ঘরে ঢোকেন না। কয়েকজন পেটোয়া কাউন্সিলরদের নিয়ে তিনি চলেন। যা কিছু উন্নয়ন শুধু সেই সব ওয়ার্ডেই হয়।" চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন : < TMC: দলেরই দুই কাউন্সিলরের গোষ্ঠীর ‘মারামারি’তে অতিষ্ট মমতা! নিলেন কড়া পদক্ষেপ >

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমিত ঘোষ ও ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে দীর্ঘ নয় ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল বাঁশবেড়িয়া পুরসভায়। এদিন যদিও অমিত ঘোষ আসেননি। অনুপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরাও। অন্যদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মগড়া থানার পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিল। সব দেখে শুনে মজা নিচ্ছে বিজেপি।
বিজেপির জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, "পুরো বিষয়টি ভাগ বাটোয়ারার খেলা। চেয়ারম্যান এর ব্যবহার খারাপ বলে কাউন্সিলররা ধর্ণায় বসেছেন শুনলে পাগলেও বিশ্বাস করবে না। আসল জায়গাটা অন্য। বিভিন্ন খাতের টাকা চেয়ারম্যান নিজেই হজম করছেন। কাউন্সিলরদের ভাগ দিচ্ছেন না তাই তাঁরা ফুঁসে উঠেছে।

West Bengal Municipality hooghly news
Advertisment