/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/Mahishadal.jpg)
Small Industries: দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই ভাই। আগে এই ব্যবসা এঁদের বাবা চালাতেন।
Small Industries: বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা থেকে এঁদের বাবা প্রথমে এসেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই এই কারবারের শুরু। বাবার পর এখন দুই ভাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন ব্যবসার দায়িত্ব। দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে পারিবারিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ওড়িশার এই দুই যুবকের এই কাহিনী চর্চাবহুল।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল (Mahishadal)। এখানেই রয়েছে ঘুগনি গলি (Ghugni Goli)। পিৎজা, প্যাটিস কিংবা বার্গারের যুগেও মহিষাদলের ঘুগনি গলির ঘুগনি-মুড়ি ও চপের (Alu Chop) জুড়ি নেই। দাম বাড়লেও স্বাদ একই রয়েছে। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ক্রেতার ভিড় থাকে এই ঘুগনি গলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ঘুগনি গলির (Mahishadal Ghugni Goli) এই খাবার আজও জনপ্রিয়তার শিখরে। সকাল হোক বা বিকেল, সন্ধে হোক বা রাত-ভোজনবিলাসে মহিষাদলের ঘুগনি গলির ঘুগনি-মুড়ির সঙ্গে চপের জুড়ি মেলা ভার।
ঘুগনি গলির একটি ৫ ফুট বাই ১০ ফুটের একটি ছোটো দোকানে চপের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন আদতে ওড়িশার (Odisha) বাসিন্দা শরৎ বেহেরা ও হেমন্ত বেহেরা নামে দুই ভাই। গত প্রায় ৫০ বছর ধরে মহিষাদলে চপের ব্যবসা করছে তাঁদের পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, আগে বাবা ব্যবসা করতেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/chop-2.jpg)
চপের দোকানে ব্যস্ত দুই ভাই।
আরও পড়ুন- Ram Mandir: যুবকের শিহরণ জাগানো কীর্তি! আপ্লুত শহরবাসী! ব্যতিক্রমী উৎকর্ষতায় বাংলার মুখ উজ্বল
এখন দুই ভাই মিলেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত প্রায় ২৩ বছর ধরে ব্যবসা চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। আলু, মোচা, চিংড়ি, ডিম, মাংস থেকে হরেক রকমের চপ বিক্রি হয় এই দোকানে।
বর্তমানে পিৎজা, বার্গারের যুগেও মহিষাদলের ঘুগনি গলিতে ভিড় জমাচ্ছেন আট থেকে আশি সকলেই। দাম আগের তুলনায় বাড়লেও খাবারের স্বাদ সেই একই। তাই কলেজ পড়ুয়া (College Students) থেকে শুরু করে অফিসযাত্রী, এমনকী পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনও মুখের স্বাদ বদলানো হোক কিংবা চটজলদি হালকা খিদে মেটানোর প্রয়োজনেই হোক, মহিষাদলে এলে ঘুগনি গলিতে অন্তত একবার ঢুঁ দেবেনই।