/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/17/flood-2025-09-17-16-25-55.jpg)
Manikchak flood: বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। তারই মধ্যে এমন কাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত ভুতনি থানা এলাকায় পৃথক দুটি জায়গায় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই পড়ুয়ার। আর এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কোনও সহযোগিতা না মেলায় চরম অসন্তোষ ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং নৌ-চালকদের সহযোগিতায় ওই দুই পড়ুয়ার পৃথক দুটি এলাকায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভুতনি থানার পুলিশ।
বুধবার মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্ত ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ । দুটি পরিবার বাড়ির একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো শোকে ভেঙে পড়েছে।প্রথম ঘটনাটি ঘটে ভুতনি থানার জুলাবদিটোলা এলাকায়। পরের ঘটনাটি ঘটেছে একই থানার পশ্চিম নারায়নপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রোজ শেখ (২১)। তার বাড়ি উত্তরচন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মশীল এলাকায়। ওই পড়ুয়া কলকাতার একটি কলেজ থেকে প্যারা মেডিকেলে পাঠরত ছিল। পরিবারের একমাত্র ছেলের বন্যার জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো শোকে ভেঙে পড়েছে তার বাবা ও মা। দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত ছাত্রের বাবা দুলাল শেখ পেশায় কৃষক।
ওই ছাত্রের এক আত্মীয় দেবজ্যোতি সিনহা জানিয়েছেন , মঙ্গলবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার সময় বাঁধের একটি ভগ্নাদশা অংশের দিয়ে সাইকেল চালিয়ে অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্র। হঠাৎ করে বেসামাল হয়ে বন্যার জলের স্রোতের মধ্যে সাইকেল নিয়ে পড়ে যায় সে। মুহূর্তের মধ্যেও ছাত্রটি গভীরে তলিয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে কয়েকজন দেখতে পেয়েই হৈচৈ শুরু করে। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর এদিন ভোরে ওই ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অথচ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এদিন সাতসকালে বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী হেমাঙ্গিনী মন্ডলের (১২)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম নারায়নপুর এলাকায়। সে পশ্চিম নারায়নপুর হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠরতা ছিল। ওই কিশোরী এদিন বাড়ির সামনে বন্যার জল জমে থাকায় স্নান করতে নামে। আচমকায় নদীর গভীরে তলিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা পর ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুটি ক্ষেত্রেই দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- Milk Price Reduce: কমল দুধের দাম, উৎসবের আগে বিরাট ঘোষণা Mother Dairy-এর
যদিও এ প্রসঙ্গে মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মন্ডল জানিয়েছেন, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। বানভাসি এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এদিন যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশ ও প্রশাসন সবরকম ভাবে সহযোগিতা করছে।