একটা সময়ে সিনেমাপ্রেমী মানুষের মনে যথেষ্টই সাড়া ফেলে দিয়েছিল হিন্দি ছবি ‘এক ফুল দো মালি’। আর এবার রিলের সেই ছবির একেবারে উল্টো রিয়েল লাইফের ঘটনা চাক্ষুষ করলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙার বাসিন্দারা। নিজেদের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে অধিকার আদায়ে দুই মহিলা একসঙ্গে কোমর বেঁধে ধরনা দিলেন ডাঙাপাড়ার শুভঙ্কর হালদারের বাড়িতে। যা দেখতে হালদার বাড়িতে ভিড় জমালেন এলাকার বহু মানুষ । যদিও শুভঙ্কর দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসাতেই পরিকল্পনা করেই দুই মহিলা এমন নাটক করছেন।
ধরনায় বসা চামেলি হাওলাদার নামে এক মহিলা নিজেকে শুভঙ্করের স্ত্রী বলে দাবি করেন। শুধু স্ত্রী হিসেবে দাবি করাই নয়, চামেলি জানান তাঁদের ৯ বছরের একটি ছেলে ও ১৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তবু তাঁর স্বামী শুভঙ্কর তাঁদের দেখভাল করেন না। কাজের নাম করে বেশিরভাগ দিন তিনি বাইরে থাকতেন। চামেলির আরও অভিযোগ, "আমার স্বামী তিনটি বিয়ে করেছে। বিভিন্ন জায়গায় সংসার পাতে ও। সেই সব প্রমাণ নিয়েই আজ এসেছি। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দাবি জানাই। একই সঙ্গে ডিভোর্স চাইতেও এসেছি।
অন্যদিকে কাকলি নামের অপর আর একষ মহিলা আবার একটি নথি দেখিয়ে দাবি করেন শুভঙ্কর তাঁকেও রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছে। ওই মহিলা বলেন, "বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানিয়ে শুভঙ্কর আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চায়। বাড়ি বন্ধক রেখে তিনি ওই টাকা শুভঙ্করকে দিয়েছি।" কাকলি আরও বলেন, "আগের স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে আমায় রেজিস্ট্রি করে বিয়ের আগে শুভঙ্কর জানিয়েছিল। অথচ শুভঙ্কর এখন আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছে না। শুভঙ্কর এখন অন্য একটি মহিলার সঙ্গে প্রেমে মজেছে। এসব মানব না।"
আরও পড়ুন- Premium:আসছে ভোটে বুড়ো হাড়ে নির্ভরতা কমাতে পারে তৃণমূল, অঙ্কের হিসেবে কোপে কারা?
ওই মহিলার দাবি, "হয় আমার কাছ থেকে নেওয়া সমস্ত টাকা পয়সা শুভঙ্কর ফেরত দিক। না হলে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে শুভঙ্কর আমাকে ওর ঘরে তুলুক।" এদিকে, দুই মহিলার তোলা এই সব অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভঙ্করের সাফাই, "দু’জনের একজন আমার বিবাহিত স্ত্রী ঠিকই। তার সঙ্গে ৪ বছর সংসার করেছি।" তাহলে এখন কেন ওই মহিলাকে নিয়ে সংসার করছেন না? এর উত্তরে শুভঙ্কর বলেন, "আমি না থাকার সময়ে ওই মহিলা আমার পরিবারের সকলের নামে মামলা করেছে।"
আরও পড়ুন- Premium: থরথর করে কাঁপছে শত্রুপক্ষ, নৌসেনার আধুনিক বহর চমকে দেবে বিশ্বের তাবড় শক্তিশালী দেশকেও
আর অপর মহিলার সঙ্গে কী সম্পর্ক ? তার উত্তরে শুভঙ্কর বলেন, "ওই মহিলা কালনার কদমতলায় থাকেন। উনি আমার মত বেশ কয়েকজনকে ফাঁসিয়েছেন। ওঁর জন্য অনেকে আত্মহত্যাও করেছে।" কাকলির দেখানো বিয়ের রেজিস্ট্রির নথির সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে শুভঙ্করের সাফাই, "আমাকে ফাঁসিয়েছে।” সব শুনে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মণ্ডলের বক্তব্য, "আইনের দরবার ছাড়া এর বিচার সম্ভব নয়।"