কিছুদিন আগেই জল্পনা বাড়িয়ে সোজা নবান্নে হাজির হয়েছিলেন দুজনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন। তার পর বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘরওয়াপসির জল্পনা বাড়িয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে শোভন-বৈশাখী জুটির? তেমনটাই খবর রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে কটাক্ষের সুরও ছুড়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তবে তাতে গুরুত্ব না দিয়ে সমঝে খেলছে তৃণমূল।
Advertisment
গত ২২ জুন আচমকা নবান্নে হাজির হয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের অভিমান পর্ব কাটিয়ে মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন দুজন। প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের। তার পর বেরিয়ে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা জিইয়ে দেন। জানান, অভিমান দুতরফেই জমে ছিল। তবে সেসব মিটমাট হয়ে গেছে। মমতা যেদিন যা নির্দেশ দেবেন তা তাঁরা পালন করবেন। তাতেই ধোঁয়াশা কেটে ঘরওয়াপসির ইঙ্গিত প্রবল হয়।
শোভন সেদিন বলেন, মমতাদির কথা, মমতাদির ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাটাই আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন, সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রিক। সেদিনই বরফ গলার আভাস পাওয়া যায়। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক আগেই ছিন্ন করেছেন তাঁরা। রাজনীতিতেও আর সক্রিয় নেই। এবার কি ফের তৃণমূলের হাত ধরে রাজনীতিতে ফিরবেন শোভন-বৈশাখী? পথের কাঁটা হতে পারেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, লক্ষ্মীবারে একুশের শহিদ স্মরণ মঞ্চে আসতে পারেন শোভন-বৈশাখী। আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে ফিরতে পারেন তাঁরা। গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় দুজনের সঙ্গে কথা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। শোভনের সঙ্গে বৈশাখী এলে দলে রত্নার কী ভূমিকা থাকবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর তাঁর আসন মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে শোভনকে। তবে পুরোটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে। এবার চোখ থাকবে আজকের শহিদ সমাবেশের দিকে, শোভন-বৈশাখী আসেন কি না সেটাই দেখার।