জুলাই মাসে 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী বোমা ফাটিয়ে দাবি করেছিলেন যে, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। তার মধ্যে ২১ জন বিধায়ক নাকি সরাসরি তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগে রয়েছেন। এরপর কয়েক মাস অতিক্রান্ত। মিঠুনের দাবির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি। পদ্ম শিবিরের 'কোবরা'র বিস্ফোরণ ঘিরে প্রশ্ন উঠে যায়। কটাক্ষ উড়ে আসে তৃণমূল থেকে। কিন্তু, নিজের মন্তব্যে অনড় মিঠুন। বললেন, 'আই স্ট্যান্ড বাই, আই স্ট্যান্ড বাই, আই স্ট্যান্ড বাই।'
কী বলেছেন মিঠুন?
শনিবার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে প্রাক পুজো সম্মেলনে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই রাজ্য বিজেপি সভাপতির পাশে বলে সাংবাদিক বৈঠক করেন। ওইসময়ই তাঁর গত জুলাই মাসের ২১ তৃণমূল বিধায়কের বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গ ওঠে। জবাবে মিঠুন বলেন, 'কোনও ব্যাক আপ ছাড়া আমি কোনও কথা বলি না। এখনও বলছি, আই স্ট্যান্ড বাই, তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যাটা কমেনি। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করুন।'
কাদের ইঙ্গিত করলেন বঙ্গ বিজেপির 'মহাগুরু'? তা অবশ্য এ দিনও খোলসা করতে চাননি মিঠুন। বলেছেন, 'ক্যামেরা প্যান করুন, একটু জুম ইন, জুম আউট করুন। নিজেরাই বুঝে যাবেন।'
এই প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'মিঠুন চক্রবর্তী ভালো অভিনেতা, কিন্তু সুবিধাবাদী ও বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদ। উনি চিক্রনাট্য অনুযায়ী সংলাপ বলেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ রাজ্য বিজেপির কেউ এই সংলাপ লিখে দিচ্ছে সেটাই উনি বলছেন। ওনার কথা ধারাবাহিকতা বা বাস্তবভিত্তি নেই। উনি চাপের মুখে বিজেপিতে রয়েছেন।'
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের কথাও উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিঠুনবলেন, 'হতাশ লাগছে। কারণ ১০০ কোটি টাকা আয় করতে হলে আসলে আমাকে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন করতে হবে। তার পর ১০০ কোটি কর দেব। তা হলে আমার কাছে ১০০ কোটি থাকবে।'
মিঠুন চক্রবর্তীর সাফ দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানাতেই তিনি তৃণমূলের প্রতীকে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। বলেন, 'আমি প্রথম বারে রাজি হইনি, তবে দ্বিতীয় বার অনুরোধ ফেলতে না পেরে মেনে নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় বার যখন বললেন, তখন যদি না করতাম তা হলে অপমান করা হত। আর আমি মনে করি না এমন কাজ করা উচিত যাতে কেউ কখনও অপমানিত বোধ করেন।'