তৃতীয় দফার লকডাউনে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই চলবে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে এই লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের সেই ছাড় সংক্র্রান্ত নির্দেশও এবার মানা হবে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, "লকডাউনে ছাড়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যে নির্দেশ রয়েছে আমরা তার সঙ্গে সহমত হচ্ছি। কারণ তা অর্থনৈতিক দিক থেকে ভাল। অনেক মানুষ কাজের সুযোগ পাবেন। তবে লকডাউনের যে কঠোরতা ছিল সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করতে হচ্ছে। আমাদের ভয় রয়েছে এটা নিয়ে। তবে কেন্দ্রের যেহেতু নির্দেশ, তাই মানতে বাধ্য হচ্ছি।"
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী ছাড় দেওয়া হচ্ছে বাংলায়?
রেড, অরেঞ্জ, এবং গ্রীন জোন নির্বিশেষে নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্যকলাপের ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে আন্তঃরাজ্য সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে একই নিয়ম জারি থাকবে। শপিং মল এবং মার্কেট ব্যাতীত যে দোকান তা আজ থেকে সারা রাজ্যে খুলবে। সকাল ১০ থেকে সন্ধে ৬ টা অবধি। তবে কনটেন্টমেন্ট জোনে নয়। সন্ধ্যে ৬টা অবধি খোলা থাকবে মিষ্টির দোকানও।
আরও পড়ুন- ‘আমাদের রিপোর্টিং সিস্টেম ঠিক ছিল না’, মানল নবান্ন, বাংলায় করোনা মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১
এছাড়াও চা ও পানের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে বসে কোনও গল্পগুজব করা যাবে না তা এদিন সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, চা-এর দোকান থেকে চা কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। অন্যদিকে, গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনে মাইনিং কাজ চালু করার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে রাজ্য। এমনকি গ্রামে গ্রামে নির্মাণকার্য চালু করার বিষয়েও ছাড় দেওয়া হয়েছে। শহরেও এই ক্ষেত্রটিতে ছাড় রয়েছে, তবে যেখানে সাইটেই লোক রেখে কাজ হচ্ছে সেগুলি চালু করা যাবে।
লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব রাখতে গিয়ে বন্ধ হয়েছে সব অফিস-কাছারি। সোমবার সেই নিয়মের ফাঁসও কিছুটা আলগা করা হল রাজ্য সরকারের তরফে। রাজীব সিনহা বলেন, "প্রাইভেট অফিস খোলা থাকবে ১০টা থেকে ৬টা। ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু বাড়ি বসে কাজ করাটা ভালো। অফিস না খুললেই ভালো। অনলাইনে কাজ করা ভালো। অবশ্যই কনটেন্টমেন্ট জোনের বাইরে যে অফিস তা খোলার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।"