কেন্দ্রের একাধিক আইন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ডাকা হয়েছে সাধারণ ধর্মঘট। বামপন্থী ও কংগ্রেস নেতৃত্বের ডাকেই আজ বাংলাতেও এই বনধ পালন হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিধানসভা ভোটের আগে এই ধর্মঘটের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে বাম-কংগ্রেস এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। এদিকে সকাল থেকেই যাদবপুরে ট্রেন অবরোধ করেছে ধর্মঘটিরা। রাজাবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ মেট্রোর সামনেও চলছে বিক্ষোভ। হাওড়া শাখায় বন্ধ হয়েছে রেল পরিষেবা, একাধিক স্টেশনে আটকে ট্রেন। বেলা গড়াতে আজ শহরের রাস্তাও শুনশান।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু ধর্মঘটীদের। এরপর বারাসাতের বাস ডিপোটে গিয়ে সরকারি একাধিক বাসে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। বাস মালিক-কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় তাঁদের। বন্ধ হয়েছে ব্যাঙ্ক।
অন্যদিকে, রেল অবরোধের জন্যে বারাসাত স্টেশনে আটকে আছে বনগাঁ লোকাল ট্রেন। ট্রেনে যদিও যাত্রী সংখ্যা নগণ্য। যাদবপুরের চিত্রটাও এক। বারুইপুর থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেন আটকে রাখা হয়েছে সেখানে।
ধর্মঘটের ইস্যুগুলিকে সমর্থন করেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপির বিরোধিতায় ধর্মঘটের ইস্যু সমর্থন করলেও বনধ বিরোধিতার অবস্থান থেকে সরবে না দল। রাস্তায় নেমে তৃণমূল ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে। লকাতায় পরিবহণ দফতর থেকে বাম-কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের দিন বাস-মিনিবাস পথে নামানোর জন্য বাস মালিকদের জানানো হয়েছে। ধর্মঘটীরা বাস-মিনিবাসের ক্ষতি করলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
কলকাতার একাধিক এলাকা দমদম, যাদবপুর, গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, ধর্মতলা, হাজরা, শ্যামবাজার থেকে মিছিল ও জমায়েত হবে। বিকাল ৩টায় প্রদীপ প্রসাদের নেতৃত্বে হাজরা মোড়ে আইন অমান্য কর্মসূচিও নেওয়া হবে। এই ধর্মঘট ঘিরে সকাল থেকে পারদ চড়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চা বলয়ে শ্রমিকরা ধর্মঘটে নামছেন। ধর্মঘটের প্রভাবে বাম শাসিত কেরল পুরোপুরি স্তব্ধ হতে শুরু করেছে।
দেশজুড়ে বাম কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বনধ অসফল করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মমতা ব্রিগেডের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মঘট ডাকার অর্থ দেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন