শহরের মানুষের ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন নদিয়ার এক যুবক। মাত্র ৪৯ টাকা থেকেই মিলছে পরিষেবা। করোনা সংকটে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কাজের তাগিদে অনেকেই বাইক পরিষেবা নিতেন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সে পাঠ বন্ধ হয়েছে। তবে নদিয়ার এই যুবক কিন্তু মাত্র ৪৯ টাকাতেই দিচ্ছেন আরামদায়ক ভ্রমণের সুবিধা। মাত্র ৪৯ টাকা দিলেই সরাসরি বাড়ি থেকে গন্তব্যে পৌঁছে যান একেবারে আরামে।
নেহাতই শখের বশে মোটর বাইক কেনা উচ্চমাধ্যমিক পাশ প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের। তার পরই মাথায় আসে এক অভিনব আইডিয়া। খাস কলকাতায় স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণে অনেকেই বাইক রাইডিং অ্যাপ বুক করে থাকেন। কিন্তু শহরাঞ্চলে তেমন সুবিধা নেই বললেই চলে। গণপরিবহন সমস্যা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এবং আরও আরাম দায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদানে নিজেই বাইক সার্ভিস চালু করেন তিনি। একাজে সঙ্গ দিয়েছে আরও পাঁচ ছয় জন বেকার যুবক। সকলেই প্রসেনজিৎ-এর মতই বাইক সার্ভিস প্রদান করেন।
এমন ধারণা সম্পর্কে প্রসেনজিৎ বলেন, “শখেই একটা বাইক কিনেছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম, কলকাতায় পথে ঘাটে মানুষজন বাইক সার্ভিসের সুবিধা পেয়ে থাকেন। আমাদের মত ছোট শহরে মানুষজন সেইভাবে এই সুবিধা পান না। অথচ বাইক সার্ভিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শহরে। সেকথা মাথায় রেখে আমি ৫-৬ জন বন্ধুর সঙ্গে মিলে এই রাইডিং সার্ভিস দিয়ে থাকি। মাত্র ৪৯ টাকা থেকে শুরু আমাদের বাইক সার্ভিস। ৪৯ টাকাতে মিলবে ৫ কিলোমিটার ভ্রমণের সুবিধা। দূরত্ব বেশি হলে প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসাবে চার্জ করা হয়। তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে আমরা এই ক’জন মিলে র্যাপিডো’র অনুকরণে একটা রাইডিং অ্যাপ খুলবো। এই কাজ একার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই সঙ্গে থাকা সকলে মিলেই এটা করার পরিকল্পনা নিয়েছি”।
দিন কয়েক আগেই সমাজ মাধ্যমে প্রসেনজিৎ-এর বাইক রাইডিং পরিষেবার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছবি ভাইরাল হতেই আগের থেকে উর্পাজন অনেকটাই বেড়েছে। মানুষজন আগে থেকে বুকিং সেরে রাখছেন। সংসারের হাল ধরতে বাইক নিয়ে পথে নামা, এবার চাহিদার কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি নিজের একটা রাইডিং অ্যাপ খোলা যায় সেই চেষ্টাতেই রয়েছি”।