/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/22/puja-2-2025-09-22-15-41-20.jpg)
Traditional Puja: ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন এই দুর্গাপুজো।
Mahishadal Rajbari:প্রতিপদ থেকেই শুরু হলো প্রায় ২৫১ বছরের প্রাচীন মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো। আগেকার সেই জৌলুশ আড়ম্বর আজকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হল মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ২৫১ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো দেখতে আজও ভিড় জমান দূরদূরান্তের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রতিমা দর্শন করতে আসেন ভিন রাজ্য, ভিন জেলার দর্শনার্থীরাও। প্রায় ১৭৭৪ সালে মহিষাদলের রানি জানকীর আমলে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই সময় থেকেই মহিষাদল রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। রাজত্ব চলে যাওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর জৌলুস কমেছে। কিন্তু, নিয়ম-আচারে ছেদ পড়েনি। তাই প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদের দিন ঘটস্থাপন করে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে এই রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা বলেন, ‘মহালয়ার পরের দিন রাজবাড়ির দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘট ওঠে। আজ থেকে প্রতিদিনই ঘটপুজো হবে। সপ্তমী থেকে মূর্তি পুজো হবে। প্রতিমার একপাশে ঘট, অন্যপাশে ধান রাখা হয়। এই দুর্গাপুজো করার পরই গ্রামে ধান ফলেছিল। তাই ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে ধান রাখা হয়।
পুজোয় ১০৮টি নীল পদ্ম দেওয়ার চল ছিলো। এখন তা আর হয়না সাদা পদ্ম দিয়ে পুজো হয়। আগে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় যাত্রাপালা, ভোগ বিতরণ, কামান দেগে সন্ধিপুজো, বিসর্জনের শোভাযাত্র সবই হত। পুজোর দিনগুলিতে ঠাকুরদালানেই যাত্রা হত। রাজবাড়ির মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে যাত্রা দেখতেন।
বিরাট এয়ারস্ট্রাইক, মুহূর্তে ঝলসে গেল ৪০টি তরতাজা প্রাণ, হাহাকার, আর্তনাদ, কান্নার রোল
পুজোর দিন অনুযায়ী ভোগ রান্না হত। যেমন, ষষ্ঠীতে ছয় মন, সপ্তমীতে সাত মন, অষ্টমীতে আট মন, নবমীতে নয় মন চালের প্রসাদ তৈরি করে বিতরণ করা হত। এখন তা আর সম্ভব হয় না। আগে কামান দেগে রাজবাড়ি সহ আশপাশের এলাকার পুজোমণ্ডপে সন্ধিপুজো শুরু হত। এখন আর তা হয়না।আগে চিকের আড়াল বসে রাজ বাড়ির মহিলারা অনুষ্ঠান দেখতো। এখন সেই প্রথা ছেড়ে রাজ পরিবারের মহিলারা প্রকাশ্যে এসে বাড়ির পুজোতে মেতে উঠেন।