বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রাথমিকের ২৬৯ জনের বিরুদ্ধে। প্রত্যেককে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপাতত চাকরি যাচ্ছে না ওই ২৬৯ জনের।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও তাঁদের যুক্তি ধোপে টেকেনি। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ছিল ডিভিশন বেঞ্চেও। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালত গোটা মামলার পর্যবেক্ষণে শেষমেশ ২৬৯ জনের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এরই পাশাপাশি এদিন মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও মানিককে ফের তাঁর পুরনো পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। মানিকের বিরুদ্ধে টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া চালালেও এখনই তাঁকে গ্রেফতারের মতো কোনও পদক্ষেপ তারা করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কিত মামলার রিপোর্ট আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- মুহুর্মুহূ স্লোগানে হাঁসফাঁস দশা, টানা বিক্ষোভের চিৎকার-চেঁচামেতিতে জেরবার রোগীরা
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। সরকারি চাকরি 'বিক্রি'-র রাজ্যজুড়ে রমরমা কারবারের মূল পাণ্ডা মানিক, এমনই দাবি ইডি-সিবিআইয়ের। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জেরা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তবে জেরায় মানিক ভট্টাতার্য সহযোগিতা করছেন না বলেই জানিয়েছে ইডি।