লকডাউন বিধি লঙ্ঘন করে গ্রেফতার উত্তরবঙ্গের তিন বিজেপি বিধায়ক। শিলিগুড়ি পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও পরে ওই তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। করোনা প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মণ এবং শিখা চট্টোপাধ্যায়। তখনই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও বিজেপির তরফে দ্দাবি, লকডাউন বিধি মেনেই এই অবস্থান। এবং সেই সময় কোনও জমায়েত ছিল না সফদার হাসমি চকে। যদিও এই প্রতিবাদকে তিরস্কারের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের অভিযোগ, ‘লকডাউনের মধ্যেও অবস্থান বিক্ষোভ করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিজেপি।‘ এটাই বিজেপির আসল চেহারা। সংক্রমণ প্রতিহত করার চেয়ে রাজনীতি করায় বেশি স্বচ্ছন্দ। এমন কটাক্ষও করেছেন গৌতম দেব।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ নবান্নের। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় আগামী ১৪ দিন, অর্থাৎ ৩০ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যত লকডাউনে এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। সেই বৈঠকে কী বললেন তিনি?
- স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
- জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব অফিস (সরকারি, বেসরকারি) বন্ধ থাকবে
- পার্ক, চিড়িয়াখানা বন্ধ
- লোকাল ট্রেন, জলপথ পরিবহণ, মেট্রো রেল, বাস পরিষেবা, ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে
- আন্তঃরাজ্য ট্রেন, বাস পরিষেবা বন্ধ
- একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা পরিবহণ ব্যবহার করতে পারবেন
- সচল থাকবে সব জরুরি পরিষেবা
- সুইমিং পুল, জিম, পার্লার, শপিং মল বন্ধ থাকবে
- সব ধরনের (ধর্মীয়, বিনোদনমূলক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক) জমায়েত বন্ধ
- রাত ন’টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা
- দুধ, রুটি, মাংসের দোকান ৩ ঘণ্টা খোলা, ওষুধের দোকান, চশমার দোকান খোলা
- খুচরো দোকান, মুদির দোকান সকাল ৭টা-১০টা খোলা, মিষ্টির দোকান বিকেল ৫টা অবধি খোলা
- চা বাগানে ৫০% কর্মী, পাটশিল্প ৩০% কর্মী নিয়ে কাজ
- বিয়ে বাড়িতে দূরত্ব মেনে ৫০% আমন্ত্রিত আর সৎকারে ২০ জন জমায়েত
- জনস্বার্থে আগামী ১৪ দিন এই নিয়ন্ত্রণ বলবৎ থাকবে
- জরুরি পরিষেবার ট্যাক্সি, পরিবহণ চালু থাকবে
- জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ৯টার পর সব বন্ধ, বেরনো যাবে না বাড়ি থেকে
- হোম ডেলিভারি চালু থাকবে
- সকাল ১০টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা ব্যাঙ্ক
- এটিএম,ই-কমার্স, হোম ডেলভারি সর্বক্ষণ খোলা
মুখ্যসচিব বলেছেন অযথা জমায়েত কিংবা বিধি ভঙ্গে মহামারী মোকাবিলা আইন এবং আইপিসির ধারায় ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন।