মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতনের পরই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, এর পর ঝাড়খণ্ড হবে, তার পর বাংলা! বাংলা-ঝাড়খণ্ডেও অপারেশন লোটাসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ আটক করে হাওড়া পুলিশ। রাতভর জেরার পর রবিবার দুপুরে তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিআইডি। এবার ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্তের কাণ্ডারী শুভেন্দু বলে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি চক্রান্তের কাণ্ডারী বলে শুভেন্দুকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন।
কুণাল এদিন বলেন," বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুদিন আগেই বলেছেন, শুভেন্দু নাগপুর না বোম্বে গেছে একটি মিশনে। দুদিন পরেই দেখতে পারবেন কী করবেন! এর পরই তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল। এটাও তো ট্রেলার। আরও বড় ডিল হয়েছিল হয়তো। আর সেই কেনাবেচার মিডলম্যান হলেন শুভেন্দু। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে এই চক্রান্তের কিনারা করা হোক।"
আরও পড়ুন গাড়িতেই টাকার পাহাড়, গ্রেফতার তিন বিধায়ক, সাসপেন্ড করল দল
এদিন তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসের কাছেও জবাবদিহি চাওয়া হয়। কুণাল তোপ দাগেন, "এখন কংগ্রেস কী বলবে? ওঁদের তিন জন বিধায়ক বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকার ফেলার চেষ্টা করছিলেন। অসম থেকে টাকা এসেছে, মিডলম্যান এখানে বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু। আর কংগ্রেস বড় বড় কথা বলছে, ওঁরা এবার জবাব দিক! তাদের বিধায়করা পশ্চিমবঙ্গে এসে সরকার ফেলার ডিল করছেন। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রত্যেক দোষীকে হেফাজতে নেওয়া উচিত।"
এদিন জয়প্রকাশ বলেন, "এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতার করে রেলপুলিশ। একজন স্বয়ংসেবক, আরএসএসের লোককে যেন বেশিদিন আটকে না রাখা হয়, তার জন্য দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রেলমন্ত্রকে অনেক কাকুতি-মিনতি করেন দিলীপবাবু। আমি সেটা জানি। সেই টাকাতে কয়লার গন্ধ ছিল। তাই তিনি ভয়ে ছিলেন। সেই টাকা নিয়ে কেন তদন্ত ধামাচাপা পড়ে গেল! দিলীপবাবু এখন অনেক কথা বলছেন।"