Cyber Crime: বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে দিল্লিতে প্রতারণা, ঝাড়খণ্ডের 'জামতাড়া গ্যাং'-এর ৩ পাণ্ডা গ্রেফতার

Cyber Fraud: এরাজ্যে বসেই দিব্যি চলছিল প্রতারণার রমরমা করাবার। স্থানীয় পুলিশ ঘুনাক্ষরেও এদের গতিবিধির কথা টের পায়নি। দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এদের বিরুদ্ধে।

Cyber Fraud: এরাজ্যে বসেই দিব্যি চলছিল প্রতারণার রমরমা করাবার। স্থানীয় পুলিশ ঘুনাক্ষরেও এদের গতিবিধির কথা টের পায়নি। দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এদের বিরুদ্ধে।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
Cyber Crime,Cyber Fraud,East Burdwan,purba bardhaman,arrested,police,west bengal news today,latest bengali news,bengali news today,সাইবার অপরাধ,purba bardhaman news

Purba Bardhaman News: এই তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বর্ধমান শহরে ঘাঁটি গেড়ে দিব্যি প্রতারণা চালাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের জামতারা গ্যাংয়ের তিন প্রতারক। বর্ধমান থানার পুলিশ এদের বিষয়ে টের না পেলেও দিল্লি পুলিশের হাত থেকে রেহাই পায়নি প্রতারকরা। শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের একটি ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সবদরজং এনক্লেবের সাইবার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রবি মণ্ডল, রমেশ কুমার মণ্ডল ও মহেন্দ্র কুমার মণ্ডল। রবির বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার শিয়াতর গ্রামে। রমেশের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার মার্গো মুণ্ডা থানার কেন্দুয়াতণ্ডে। অপর ধৃত মহেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বেঙ্গাবাদ থানার রাতডি এলাকার বাসিন্দা।

Advertisment

গতকাল রাতেই তিন ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিশ। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার এবং গ্যাংয়ের বাকিদের হদিশ পেতে দিল্লি পুলিশ তিন ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানায়। সিজেএম বিনোদ কুমার মাহাতো সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ২৭ মে-র মধ্যে ধৃতদের পাতিয়ালা হাউস কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করার জন্য সিজেএম তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২৮ মে-র মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ই-মেইল করে পাঠানোর 
নির্দেশও সিজেএম দিয়েছেন। 

ধৃতরা প্রত্যেকেই দাগী সাইবার অপরাধী বলে জেনেছে পুলিশ। দিল্লির সেক্টর আর কে পুরম এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মণ আগওয়াল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১২ মে লক্ষ্মণ আগরওয়ালের ফোনে একটি মেসেজ আসে। মেসেজটি দিল্লির জলবোর্ড থেকে পাঠানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। মিটার রিডিং আপ-টু ডেট না করার জন্য তাঁর জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে বলে সেই মেসেজে জানানো হয়।

জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া আটকাতে লক্ষ্মণ আগরওয়ালকে একটি ’অ্যাপ’ ডাউনলোড করার কথাও মেসেজে বলা হয়। সরল মনে তা বিশ্বাস করে লক্ষ্মণ ওই ’অ্যাপ’ ডাউনলোড করেন । অভিযোগ, এরপরেই লক্ষ্মণের কাছে তাঁর ব্যাঙ্কের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি তাও দিয়ে দেন। এরপরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে থাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ হাজার ১৬১ টাকা তুলে নেওয়া হয়। 

Advertisment

এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর চালিয়ে লক্ষ্মণ জানতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। জলবোর্ডের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁকে ঠকানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সবদরজং এনক্লেবের সাইবার থানার অভিযোগ
 দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সেই সাইবার থানার পুলিশ যে মোবাইল নম্বর থেকে লক্ষ্মণকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটির সম্পের্ক তথ্য সংগ্রহ করে।

এরপর মোবাইল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল সাপোর্টের সাহায্যে ঘটনায় এই তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে দিল্লি পুলিশ। টেকনিক্যাল সাপোর্টের মাধ্যমে দিল্লি পুলিল এও জেনে যায় প্রতারকরা বর্ধমান থানা এলাকায় রয়েছে। এরপরেই দিল্লি পুলিশের একটি দল বর্ধমানে এসে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে তিন প্রতারককে পাকড়াও করে। 

Arrested Arrest Purba Bardhaman cyber crime