CV Ananda Bose: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিনী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর কথা হয়েছে পুলিশের সঙ্গেও। তদন্তে নেমে রাজভবনের CCTV ফুটেজ ও অভিযোগকারীনির বক্তব্য শুনে এবার হেয়ার স্ট্রিট থানা রাজভবনের এক অফিসার-সহ মোট ৩ কর্মীকে তলব করেছে। আজই হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি নালিশ-কাণ্ডে এবার পুলিশি পদক্ষেপ আরও কড়া। হেয়ার স্ট্রিট থানা রবিবারই ডেকে পাঠিয়েছে রাজভবনের OSD এসএস রাজপুত ও দুই কর্মী সন্ত লাল, কুমুস ছেত্রীকে। যদিও পুলিশের সঙ্গে কোনও ধরনের সহযোগিতা করতে আগেই রাজভবনের কর্মীদের নিষেধ করেছেন রাজ্যপাল নিজে। আজ পুলিশি তলবে রাজভবনের ওই তিন কর্মী যান কিনা নজর সেদিকে।
আরও পড়ুন- Sundarban: সুন্দরবনে হাড়হিম-কাণ্ড! ক্ষতবিক্ষত বনকর্মীর মুণ্ড, গভীর রাতের সেই ঘটনা জানলে শিউরে উঠবেন!
এদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি নালিশ কাণ্ডে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়টিতে তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, "নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল। পুলিশকেও তাতে সামিল করছে। পুলিশকে বলব সচেতন থাকুন।"
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "রাজভবনে যেটা হয়েছে সেটা আপত্তিকর ও উদ্বেগজনক। নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করছে। রাজ্যপাল সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ব্যবহার করে তদন্তের বাইরে থাকছেন। এই ঘটনায় আর যাঁদের নাম আসছে পুলিশ তদন্ত করছে।"
আরও পড়ুন- Sukanta on Adhir: ‘রামের বাড়ি আসুন’, খাড়গের কড়া বার্তার পরেই অধীরকে BJP-তে ডাকলেন সুকান্ত
সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, "রাজ্যপালের উচিত ছিল তদন্তকে আহ্বান করা। রাজ্যপাল প্রথম থেকেই সংবিধানের সুবিধা আছে বলে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করছেন। মেয়েটিও মিথ্যা বললে তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।"