অ্যাডিনোভাইরাস, নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই ফের পরপর শিশু মৃত্যু। কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ শিশুর মৃত্যু ঘিরে চূড়ান্ত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল দুপুর থেকে সন্ধের মধ্যে তিন শিশুর মৃত্যুর পর আজ সকালে ওই হাসপাতালেই ফের বারাসতের ময়নার একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় ঘরে-ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে শিশুরা। শহর থেকে জেলা, এছবি এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে জ্বর-সর্দিতে কাবু শিশুদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। শিসু ভর্তির বিপুল চাপ সামাল দিতে হিমশিম দশা হচ্ছে হাসাপাতলগুলির । কোনও কোনও হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার বন্দোবস্ত না থাকায় বাধ্য হয়েই একটি বেডে ২-৩ জন শিশুকে রাখা হচ্ছে।
এই মধ্যে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেরই জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। গতকাল সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি থাকা দুটি শিশুর মৃত্যু হয়। মৃতদের একজন ৭ মাস বয়সী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা। মৃত ৩ বছরের আরও একটি শিশুর বাড়ি নারায়ণপুরে। তারও আগে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা একটি শিশুরও মৃত্যু হয় জ্বরে ভুগে।
আরও পড়ুন- কেষ্টকে নিয়ে আজই দিল্লি যাচ্ছে ED, বাকি জেরা রাজধানীতেই
শুক্রবার সাকলে ফের একটি শিুর মৃত্যুর খবর মেলে। বিসি রায় হাসপাতালে ৯ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ১০ মাসের ওই শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছিল। জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল ওই শিশুটিরও। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুটির আজ সকাল ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেককে বিঁধতে ‘আজব ছড়া’ অগ্নিমিত্রারও, কম যান না অনুপমও!
রাজ্যের একের পর এক হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করেন এখনই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসা উচিত রাজ্য সরকারের। করোনাকালের কথা তুলে ধরে রাজ্য সরকারকেই এব্যাপারে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, 'করোনার সময় লুকনোর চেষ্টা হয়। করোনা আটকানেরা চেষ্টা হয়নি। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ভুল তথ্য লেখা হতো। এখানেও সরকার একই ভুল করছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া উচিত রাজ্যের।'